থমকে: মাঝেরহাটে বেলি ব্রিজে ওঠার মুখে যানজট। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
মাঝেরহাট সেতুর বিকল্প হিসেবে বেলি ব্রিজই আলিপুর থেকে বেহালায় যাওয়ার পথে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বেলি ব্রিজের দুই প্রান্তে পুলিশও থাকে। তবে সেতুতে প্রবেশের আগে রাস্তায় যান চলাচলের কোনও লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় বেলি ব্রিজের দু’প্রান্তেই তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। তার জেরে পুলিশ এবং আরোহীদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই বাদানুবাদ তৈরি হচ্ছে। অবশ্য পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় গাড়ির রুট পরিবর্তন করে দ্রুত অন্য দিকে বার করে দেওয়া হচ্ছে।
সমস্যা কোথায়?
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ জানাচ্ছে, বেলি ব্রিজ ধরে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বেহালার দিক থেকে আলিপুরে এবং বিকেল ৪টের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আলিপুর থেকে বেহালার দিকে যাতায়াত করা যাবে। তবে, রাত ১০টার পরে ট্র্যাফিকের ভিড় কমলে কর্তব্যরত পুলিশের অনুমতি নিয়েই দু’দিকে গাড়ি যাতায়াত করতে পারে। সেখানে যানজট নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি কর্তব্যরত পুলিশেরই দেখার কথা।
আলিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ শাহানাজ আলম বলেন, ‘‘যাঁরা রুট খোলা-বন্ধের সময় জানেন তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু অনেকেই কিছু না জেনে যখন বেলি ব্রিজের দু’দিকেই চলে আসেন, তখনই দু’প্রান্তে যানজট হয়। এলাকার অনেক জায়গায় বড় করে সেতুতে যান চলাচলের সময় লিখে দেওয়া দরকার।’’
বেহালার বাসিন্দা মৃন্ময় রায়ের অভিযোগ, ‘‘সকালে আলিপুরের দিকে আসতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু একটু বেশি রাত হলেই এই রাস্তা বন্ধ করে পুলিশ দুর্গাপুর ব্রিজ দিয়ে রুট ঘুরিয়ে দেয়। এই নিয়ে আগে কয়েক বার পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এখন অবশ্য ব্যাপারটি গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে।’’ শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, হঠাৎ করে বাইরে থেকে কেউ পৌঁছলেও নির্দেশিকা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই।
নির্দেশিকাই বা দেওয়া নেই কেন?
পুলিশ কর্তারা জানান, বেলি ব্রিজের মুখে বেহালার দিকে রয়েছে মাঝেরহাট স্টেশনের রেললাইন। অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে রেললাইনে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে মালগাড়ি আটকে থাকার ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে, বহু ক্ষণ ধরে যানজটে নাকাল হন আরোহীরা। সেই সময়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা রাস্তা ব্যারিকেড করে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ জানায়, বেলি ব্রিজ চালু হওয়ার সময়ে প্রবেশপথের মুখে লিখিত নির্দেশিকা ছিল ঠিকই। কিন্তু মালগাড়ির কারণে যখন যানজটে আটক আরোহীদের পুলিশ সরতে বলে, তখন গাড়ি চালকেরা নির্দেশিকার ভিত্তিতে ওই জায়গা ছাড়তে রাজি হন না। ফলে, এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গেও গাড়িচালকদের বচসা বাধে। নির্ধারিত সময়ে দু’দিকেই ব্রিজের প্রবেশ পথে ‘নো-এন্ট্রি’ বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, বেলি ব্রিজে যানজট হলে দুর্গাপুর ব্রিজ ছাড়াও বেস ব্রিজ দিয়েও যাতায়াত করা যায়। তবে, সময়ে বেশি লাগে।
অন্য দিকে রেল জানাচ্ছে, মালগাড়ি রাতেই যাতায়াত করে। কিন্তু লোকাল ট্রেন দিনের বেলা চলে। প্রযুক্তিগত কারণে ওই জায়গায় লেভেল ক্রসিং বসানো সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy