প্রতীকী ছবি।
রাতে স্কুলের ভিতরে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকার ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও কিছু পিতলের ফুলদানি চুরি করেছিল চোরের দল। তার পরে সঙ্গে আনা প্যাটি আর চা খেয়েছিল তারা। খেয়েদেয়ে মেঝেতে শাড়ি পেতে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে লম্বা ঘুম দেয় তারা। ভোরবেলা উঠেই চম্পট। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা থানা এলাকার চট্টা কালিকাপুরের সুবেদ আলি গার্লস হাইস্কুলে। বুধবার রাতে চোরের আগমনের পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকারা দেখেন, প্রধান শিক্ষিকার ঘরের দু’টি আলমারিই ভাঙা হয়েছে। ঘরের সব জিনিস লন্ডভন্ড। মেঝেতে খাবারের খালি প্যাকেট। প্লাস্টিকের খালি চায়ের কাপ। পড়ে আছে শাড়ি ও স্কুলব্যাগ। আলমারি থেকে উধাও নগদ ১৯ হাজার টাকা।
শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, বুধবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ভিতরের সিসি ক্যামেরাগুলি বন্ধ ছিল। ওই স্কুলে কোনও নৈশ প্রহরী নেই। মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তবে পুলিশের দাবি, রাতে ওই এলাকায় টহলদারি ছিল। কিন্তু স্কুলের দরজায় তালা লাগানো থাকায় কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। চোরের দল তালা না ভেঙেই কী ভাবে স্কুলের ভিতরে ঢুকল এবং বেরিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ সূত্রের খবর, বজবজ ও মহেশতলা থানা এলাকায় সম্প্রতি চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। কোনও একটি চোরের দল এখন সক্রিয় সেখানে। তাদের খুঁজছে পুলিশ। স্কুলে চুরির ঘটনায় ওই দলটিই জড়িত বলে সন্দেহ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ টাকা আলমারিতে রাখা ছিল। তা ছাড়া, কয়েক জন শিক্ষিকার শাড়িও ছিল সেখানে। চোরের দল নগদ টাকা ও পিতলের দামি ফুলদানিই চুরি করেছে। রাতের খাবার ও চা তারা সঙ্গেই এনেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy