সোদপুরের একটি দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন যুবক। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর ট্র্যাফিক মোড়ে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দলের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক মোড়ে বড় একটি মিষ্টির দোকানের সামনের অংশে বিরিয়ানি ও রুটি বিক্রি হয়। ওই রাতে ৯টা নাগাদ দু’টি বাইকে চড়ে দুই যুবক সেখানে আসে। তারা দোকানের কর্মী রাজেন যাদবকে নান ও বিরিয়ানির অর্ডার দেয়। অভিযোগ, কিছু ক্ষণ পরেই ওই যুবকেরা কেন খাবার দিতে দেরি হচ্ছে এবং নানে কেন শিকের দাগ হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে রাজেনকে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করেন দোকানের মালিক কমল দাস। তখনকার মতো চলে যায় ওই দুই যুবক।
অভিযোগ, প্রায় আধ ঘণ্টা পরে তারা ১৫ জনকে নিয়ে কয়েকটি বাইকে চেপে ফের কমলবাবুর দোকানে আসে। প্রথমে দলটি রাজেনের উপরে চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করা হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন কমলবাবু-সহ অন্য কর্মচারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, কমলবাবুকে পিস্তলের বাট দিয়ে মারে ওই যুবকেরা। বাধা দিতে এসে জখম হন গণেশ বিশ্বাস-সহ দুই কর্মচারী। এর পরে অভিযুক্তেরা মিষ্টির দোকানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় হকচকিয়ে যান পথচারী থেকে অন্য দোকানদারেরা। তবে পরমুহূর্তে তাঁরা তেড়ে গেলে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তেরা। তিন জন ধরা পড়ে যায়়। খড়দহ থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আটক করা হয় বাইকগুলি। পুলিশ জানিয়েছে, কমলবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্মচারী গণেশ ও রাজেনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কমলবাবু বলেন, ‘‘ছেলেগুলোকে এলাকায় আগে দেখিনি। কেন হামলা চালাল, বুঝতে পারছি না।’’ খবর পেয়ে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘মনে হয় ওরা ডাকাতির উদ্দেশে এসেছিল। লোকজনের বাধায় পালিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy