দু’দিনে শহরে তিনটি পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি অটো রিকশা। বছর বত্রিশের অটোচালক প্রবীর দাস গুরুতর জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গভীর রাতে মারা যান প্রবীরবাবু।
অন্য দিকে, বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বি টি রোডে চিড়িয়ামোড়ের কাছে এক পথচারীকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর পঁয়ষট্টির ওই প্রৌঢ়ের পরিচয় রাত পর্যন্ত জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘাতক গাড়িটি অবশ্য আটক হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন চালক।
এ দিনই বিকেল ৩টে নাগাদ জোড়াবাগান থানা এলাকার মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন গঙ্গারানি বেরা (৮৫) নামে এক বৃদ্ধা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে পরে মারা যান তিনি। এ ক্ষেত্রেও গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ। চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু। দুর্ঘটনা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিধাননগর কমিশনারেটের। নিউ টাউন, সল্টলেকের পরে এ বার ঘটনাস্থল বাঙুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ভিআইপি রোড সংলগ্ন ওই এলাকায় পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম নবীন চৌধুরী (৫৬)। তিনি কেষ্টপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন নবীনবাবু। মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ পিছন থেকে একটি দশ চাকার ট্রেলার এসে ধাক্কা মারে তাঁকে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন নবীনবাবু। বেগতিক দেখে কিছু দূর যাওয়ার পরে ট্রেলার ফেলেই চম্পট দেয় চালক ও খালাসি।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে নবীনবাবুকে উদ্ধার করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ট্রেলারটি আটক করেছে পুলিশ। পলাতক চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
বাঙুর এলাকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, গভীর রাতে অনেক সময়েই বড় বড় ট্রেলার এবং ট্রাক ভিআইপি রোড থেকে বাঙুর অ্যাভিনিউ হয়ে যশোর রোড ধরে যাতায়াত করে। বেপরোয়া ভাবে চলে ওই গাড়িগুলি। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy