হাসপাতাল ভাঙচুরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: ভিডিয়ো সৌজন্যে।
তিন ছাত্র মদ্যপ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু, চিকিৎসার পর সেই ছাত্ররাই হাসপাতাল ভাঙচুর করলেন। বেধড়ক মারধর করলেন হাসপাতাল কর্মীদের। ঘটনায় ওই তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা নিউটাউনের একটি বেসরকারি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজে পড়েন। ধৃতদের মধ্যে দু’জন দিল্লির বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ তিন ছাত্র হাজির হন ওই হাসপাতালে। তাঁদের এক জনের মাথায় ক্ষত ছিল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করা হয়। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনে পুলিশকে জানানোর ফর্ম পূরণ করতে বলেন ওই যুবকদের। তখন তাঁরা সেটা পূরণ করতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি, ফর্ম দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সেখানকার কর্মীদের গালি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হাসপাতালের ওই রাতের শিফট ম্যানেজার বিদ্যুৎ দাস। তাঁর সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা শুরু হয়। যুবকেরা তাঁর পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি বাধা দিলে তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন ওই যুবকেরা। বিদ্যুতের মাথায় গভীর আঘাত লাগে।
তত ক্ষণে বিধাননগর উত্তর থানায় খবর দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। পুলিশ এসে ওই তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সকালে বিদ্যুৎবাবুর করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: সেলসম্যানকে বিষ! নিউ আলিপুরে আটক গৃহবধূ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকেরা শুক্রবার রাতে সল্টলেকের সিটি সেন্টারের একটি পানশালায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা মদ খেয়ে ঝামেলা বাধায়। মারামারিতে ওঁদের এক জনের মাথা ফেটে যায়। তিন জনই নিউটাউনের একটি বেসরকারি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্র। তাঁদের মধ্যে দু’জন দিল্লির বাসিন্দা। অন্য জন কলকাতায় থাকেন। ধৃত আনন্দ মণ্ডল, সুমিত নগর এবং অভিনব কুমারকে শনিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy