হেলে পড়া বহুতলটি। নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন আগেও ওঁদের মাথায় ছাদ ছিল। তিলজলায় হেলে পড়া বাড়িতেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস চলছিল দিব্যি। বুধবার রাতে আচমকা গৃহহীন হয়ে গেলেন ওই পরিবারগুলি।
অনেকেই বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইছিলেন না। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন সেখানে আর তাদের থাকার অনুমতি দেয়নি। পাশের বাড়ির বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। দুই বহুতলের মোট ৩২টি পরিবার এখন বাড়ি ছাড়া।
এখন সংসার নিয়ে কেউ উঠেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। কেউ বা ভাড়া বাড়ির খোঁজ করছেন। কেউ এখনও ওই বাড়িতেই থেকে যেতে চাইছেন। বুধবার রাতে কলকাতা পুরসভার ই়ঞ্জিনিয়াররা ওই বাড়িটি পরিদর্শন করেন। কেন বহুতলটি হেলে গেল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: জলা জমিতে দুর্বল ভিত! তাতেই কি হেলে পড়ল তিলজলার বহুতল
এমনিতে বাইরে থেকে দেখতে ঝাঁ-চকচকে রং করা। ফাটল নেই। এই অবস্থাতেই পাশের একটি বাড়ির দিকে হেলে পড়েছে ১২/১১ শিবতলা লেনের ওই চার তলা বাড়ি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বহুতলের নির্মাণের সময়ে নিম্ন মানের সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। সেই দ্রব্য ব্যবহার করাতেই ওই ঘটনা। বাড়ি তৈরি করতে পুরসভার সব নিময় মানা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হেলে পড়া বাড়িটির বাসিন্দাদের সরানো হলেও, পাশের বাড়ির বাসিন্দারা কিন্তু চরম আতঙ্কিত। যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইউসুফ বলেন, “ওই অবস্থাতেই ছিল বাড়িটি। আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। তার পরেও সরে যেতে হল।”
আরও পড়ুন: তিলজলায় হেলে পড়ল বহুতল, তীব্র আতঙ্ক, বাড়ি খালি করে পরিদর্শনে পুলিশ-দমকল-পুরসভা
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় অনেক বহুতলই পুরসভার নিয়ম মেনে বানানো হয়নি। দুই বাড়ির মধ্যে কোনও জায়গাও ছাড়া হয়নি। কোনও কোনও বাড়ি জলাভূমি বুজিয়েও করা হয়েছে। ফলে সমস্যা তো হওয়ারই কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy