Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

গুলিতে জখম যুবক, কারণ নিয়ে ধন্দ

মিথ্যা গল্প ফেঁদে কয়েক জন যুবক তাদের গুলিবিদ্ধ সঙ্গীকে ভর্তি করিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। উদ্দেশ্য ছিল, পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া। কিন্তু, তদন্তকারীদের জেরায় শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে গেল তাদের কীর্তি। ওই যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর দুই সঙ্গীকেই মঙ্গলবার আটক করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

মিথ্যা গল্প ফেঁদে কয়েক জন যুবক তাদের গুলিবিদ্ধ সঙ্গীকে ভর্তি করিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। উদ্দেশ্য ছিল, পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া। কিন্তু, তদন্তকারীদের জেরায় শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে গেল তাদের কীর্তি। ওই যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর দুই সঙ্গীকেই মঙ্গলবার আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ভোরে নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আর জি করে স্থানান্তরিত করা হয় অভিজিৎ মল্লিক নামে ওই যুবককে। তাঁর বাড়ি দমদমের স্বামীজি নগরে। পেশায় টোটোচালক অভিজিতের পেটে গুলি লেগেছে। এ দিন বিকেলে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অভিজিতের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাঁর সঙ্গীরা প্রথমে দাবি করেছিল, অভিজিৎকে নিয়ে তারা সোমবার রাতে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন দেখতে গিয়েছিল। ফেরার পথে দমদম সেভেন ট্যাঙ্কসের কাছে রেডিয়ো গলিতে সমাজবিরোধী দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে। সেখানে গুলিতে জখম হন ওই যুবক।

কিন্তু তদন্তে নেমে চিৎপুর থানার পুলিশ রেডিয়ো গলিতে গুলি চলার প্রমাণ পায়নি। ফলে ঠিক কোথায় অভিজিৎ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অভিজিৎও এতটাই জখম ছিলেন, তিনিও পুলিশকে ঠিক ঘটনাস্থল জানাতে পারছিলেন না। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে চিৎপুর থানা চন্দন এবং পুচু নামে অভিজিতের দুই সঙ্গীর খোঁজ পায়। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা জানায়, গুলি চলেছিল এ দিন ভোরে, নিউ ব্যারাকপুরের বিটি কলেজের কাছে।

পুলিশের দাবি, জেরায় চন্দন ও পুচু জানিয়েছে, তারা কয়েক জন বন্ধু সোমবার রাতে নিউ ব্যারাকপুরের একটি জায়গায় বসে মদ্যপান করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিজিৎ এবং পকাই নামে এক যুবক। তাঁর কাছে থাকা বন্দুক থেকে আচমকা গুলি ছুটে জখম হন অভিজিৎ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চন্দনেরা জানিয়েছিলেন, মনে হচ্ছে অভিজিতের গুলি লেগেছে। সে কথা জানিয়েই তারা পালায়। পরে অভিজিৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানান। বাড়ির লোক হাসপাতালে গিয়ে আংশিক বিল মিটিয়ে ওই যুবককে নিয়ে যান আর জি করে।

নাগেরবাজারের ওই হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁরা দমদম থানায় ফোন করে পুরো ঘটনা জানান। তাদের থেকে খবর পেয়ে আসে চিৎপুর থানার পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যায় অভিজিতের স্ত্রী গঙ্গা অবশ্য জানান, পুলিশই তাঁকে জানিয়েছিল, তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু কোথায় গুলিবিদ্ধ হন অভিজিৎ, তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন গঙ্গা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE