Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কাজের দিনে সভা, ফের ভোগান্তি

মেয়ো রোডের ওই সভার জেরে ভোগান্তি পোহাতে হয় মা উড়ালপুলে থাকা যাত্রীদেরও। বেলা সাড়ে ১২টার পরে ইএম বাইপাস থেকে ধর্মতলায় পৌঁছতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টারও বেশি।

থমকে: সমাবেশের জেরে যানজটে রুদ্ধ শহর। মঙ্গলবার, রবীন্দ্র সদনের সামনে। নিজস্ব চিত্র

থমকে: সমাবেশের জেরে যানজটে রুদ্ধ শহর। মঙ্গলবার, রবীন্দ্র সদনের সামনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০১:০২
Share: Save:

রাজনীতির ফাঁসে ফের নাজেহাল শহর।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিনেই রাজনৈতিক সমাবেশের জেরে যানজটে থমকাল শহরের বড় একটি অংশ। বাধাপ্রাপ্ত হল যানবাহনের গতি। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, মিছিল যে সব রাস্তা দিয়ে গিয়েছে, শুধু সেই সব রাস্তাতেই যান চলাচলের গতি বাধা পেয়েছে। মিছিল শেষ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

ছাত্র সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বক্তা। তাঁর জন্য মেয়ো রোড জুড়ে তৈরি করা হয়েছিল অনুষ্ঠান মঞ্চ। সকাল ১০টার পর থেকে মিছিল আসতে শুরু করায় ১১টার পরে মেয়ো রোড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেই সময়ে ডালহৌসিমুখী সমস্ত গাড়িকে উট্রাম রোড দিয়ে ঘুরিয়ে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকেই মেয়ো রোডের সভামঞ্চের সামনে একের পর এক মিছিল আসতে শুরু করে। যার ফলে দফায় দফায় জওহরলাল নেহরু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও পার্ক স্ট্রিটে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে যোগ দিতে আসা মিছিলগুলি পার্ক স্ট্রিট মোড় ঘুরে মেয়ো রোডে ঢোকে। ফলে উট্রাম রোড, ডাফরিন রোডে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। পরে ডাফরিন রোড দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অবস্থা সামাল দিতে জওহরলাল নেহরু রোডের একাংশের গাড়ি পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল দিয়ে ধর্মতলায় পাঠানো হয়।

মেয়ো রোডের ওই সভার জেরে ভোগান্তি পোহাতে হয় মা উড়ালপুলে থাকা যাত্রীদেরও। বেলা সাড়ে ১২টার পরে ইএম বাইপাস থেকে ধর্মতলায় পৌঁছতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টারও বেশি। কসবার বাসিন্দা অনিমেষ চৌধুরী ধর্মতলা যাবেন বলে মা উড়ালপুল ধরেছিলেন। উড়ালপুলের অর্ধেক পথ পেরোনোর পরে তাঁর গাড়ি যানজটে আটকে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘এক্সাইড মোড়ের পর থেকেই গাড়ির গতি কমে যায়। তখন সামনে যত দূর চোখ যায়, গাড়ির সারি। উড়ালপুল থেকে নামার পরেও গাড়ির গতি ছিল খুব কম।’’ তাঁর অভিযোগ, হসপিটাল রোডে যানজট থাকায় অন্য রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য অনিমেষবাবু গাড়ি ছেড়ে মেট্রো ধরে গন্তব্যে পৌঁছন।

দক্ষিণের মতো একই অবস্থা ছিল উত্তরেও। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দফায় দফায় মিছিল বেরোনোয় মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড ও মহাত্মা গাঁধী রোডে বারবার ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। রাজাবাজারে গাড়ি আটকে ঘুরিয়ে দেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ আলি পার্ক থেকে একটি বড় মিছিল সমাবেশের দিকে রওনা দিলে যানজট তৈরি হয় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের ধর্মতলামুখী দিকে। ওই সময়ে পুলিশ গিরিশ পার্ক এবং মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে অবস্থা সামাল দেয়। হাওড়া থেকে একটি বড় মিছিল হাওড়া ব্রিজ, ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে যাওয়ার ফলে ওই রাস্তায় বেশ কিছু ক্ষণ বাধা পায় যান চলাচল।

লালবাজার জানিয়েছে, সমাবেশের জন্য বেলা ১২টার পর থেকে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে মিছিল যাওয়ায় গাড়ির গতি বাধা পেলেও কোথাও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেনি। সমাবেশ শেষ হতেই গাড়ির গতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE