থমকে: শহরের রাস্তায় যানজট। বুধবার বিকেলে, ধর্মতলার কাছে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কন্টেনমেন্ট জ়োনে লকডাউন বলবৎ করা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। তার মধ্যেই বুধবার দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাধা পেল যানবাহনের গতি। তৈরি হয় যানজট। লালবাজার অবশ্য জানিয়েছে, ওই অবস্থা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অবস্থা দ্রুত সামাল দেওয়া গিয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন আচমকাই শহরের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায়। তার সঙ্গে রাস্তায় নামা মানুষের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে দেখা যায়। আর এতেই যানজটের কবলে পড়ে মধ্য এবং উত্তর কলকাতার একাংশ। সন্ধ্যার পরে অবশ্য পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
পুলিশের একাংশের মতে, লকডাউন শুরু হতে পারে অনুমান করেই এ দিন বেশি সংখ্যক মানুষ নানা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। আর তার জেরেই শহরের রাস্তায় গাড়ি গতি বিভিন্ন সময়ে বাধা পেয়েছে বলেই মনে করছে ট্র্যাফিক বিভাগ। তার সঙ্গেই এ দিন যোগ হয়েছিল বৃষ্টি। তার কারণেও গাড়ির চলাচল ব্যাহত হয় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ, এ পি সি রোড, বেলগাছিয়া এবং আর জি কর রোড, জওহরলাল নেহরু রোডের একাংশে। এ দিন বিকেলে ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে দূরপাল্লার বাসের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই।
লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে বেলগাছিয়া সেতুর কাছে শাসক দলের একটি বিক্ষোভ- সভা ছিল। তার জেরে গাড়ি চলাচল বাধা পায় বেলগাছিয়া রোডে। দুপুরের পর থেকেই ধর্মতলা চত্বরে গাড়ির গতি ছিল শ্লথ।
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দু’দিকে গাড়ির লম্বা সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যার জের গিয়ে পড়ে গিরিশ পার্ক, মহাত্মা গাঁধী রোড এমনকি শ্যামবাজারেও। ধর্মতলাতেও ব্যাহত হয় যান চলাচল।
পুলিশ জানায়, শ্যামবাজারের দিকে গাড়ির চাপ বেশি থাকার জন্য খন্না মোড় পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। তবে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে অবস্থা সামাল দিয়েছেন বলে লালবাজার দাবি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy