প্রতীকী চিত্র।
আগাম খবর পেয়ে এক বড় মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলল পুলিশ। সোমবার ভবানীপুর থানা এলাকার শরৎ বসু রোড থেকে প্রায় ৭০ কিলোগ্রাম গাঁজা-সহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পুলিশ দেখে ওই পাচারকারীর এক সঙ্গী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সাব-ইনস্পেক্টর কিশোর মাহাতোর কাছে খবর আসে, প্রচুর পরিমাণ গাঁজা নিয়ে শহরে ঢুকছে পাচারকারীরা। তারা ভবানীপুর এলাকায় আসবে বলেও জানা যায়। খবরটি পাওয়ার পরেই থানার তরফে তা উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানানো হয়।
এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওসি সুমিত দাশগুপ্তের নেতৃত্বে তৈরি হয়ে যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু ঠিক কোন জায়গায় সেই মাদক কারবারিরা আসবে, সেই খবর পুলিশের কাছে ছিল না। নিজেদের অনুমানের উপরে ভিত্তি করে শরৎ বসু রোডের উপরে নজর রাখছিল পুলিশ। শেষে সোর্সের
মাধ্যমেই খবর পেয়ে একটি ধূসর রঙের গাড়িকে একটি বিউটি পার্লারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চিহ্নিত করে পুলিশ। কিন্তু ওই গাড়ির দিকে পুলিশ এগোনোর আগেই ভিতরে থাকা এক জন নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে মিশে যাওয়ায় তাকে পুলিশ ধরতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু অন্য জনকে ধরে ফেলে তারা। যে গাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়, তার ভিতরেই মোট চারটি বড় ব্যাগে ভরা ছিল ৭০ কেজি গাঁজা।
পুলিশ জানায়, জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, তার নাম সঞ্জয়কুমার তিওয়ারি। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সঞ্জয়রা কলকাতায় সরবরাহ করার জন্যই ওই গাঁজা এনেছিল। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরে পাচারকারীরা কলকাতার স্কুল ও কলেজগুলিকে ‘টার্গেট’ হিসেবে বেছে নিয়ে ওই সমস্ত এলাকায় মাদকের বিক্রি বাড়িয়েছে। এই চক্রটিও সেই কাজই করত বলে পুলিশের ধারণা। এই মাদক-চক্রে আর কারা রয়েছে, তা জানতে সঞ্জয়কে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে এক ব্যক্তিকে মাদক-সহ গ্রেফতার করে ময়দান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ শহিদ মিনার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের একটি গণশৌচালয়ের কাছ থেকে নদিয়ার বাসিন্দা পালান মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ২১ কিলোগ্রামের মতো গাঁজা মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy