ফাইল চিত্র।
লকডাউন শিথিল হতেই বৌবাজারে মসৃণ গতিতে শুরু হয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ। কিন্তু ফের তাল কাটল। জানা গিয়েছে, সেখানেও হানা দিয়েছে করোনা। সংক্রমণ ছড়িয়েছে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজে যুক্ত কর্মী এবং আধিকারিকদের মধ্যে। প্রায় ১৫০ জন কর্মী-আধিকারিকের মধ্যে অন্তত ২০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে বলে খবর। আক্রান্তদের মধ্যে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত কর্মী এবং আধিকারিকেরাও রয়েছেন। ওই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গত শুক্রবার থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে। সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং আধিকারিকদের কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। সু্ড়ঙ্গ নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিককে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
আচমকা এই সংক্রমণের জেরে এসপ্লানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ ফের পিছিয়ে গেল। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে ধসপ্রবণ বৌবাজারের বাধা চলতি মাসের শুরুতে নির্বিঘ্নে পেরিয়ে এসেছিল টানেল বোরিং মেশিন ‘উর্বী’। মেট্রো কর্তাদের আশা ছিল, আগামী অগস্টের মাঝামাঝি শিয়ালদহ পৌঁছে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই কাজ অন্তত এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। করোনা সংক্রমণের জেরে কাজ বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত টিবিএম ‘উর্বী’ বৌবাজারের ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া মোড়ের থেকে প্রায় ৭০ মিটার দূরে রয়েছে বলে খবর। ওই অংশ থেকে শিয়ালদহের দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার।
কোয়রান্টিনে থাকা কর্মী-আধিকারিকদের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে ফের পরীক্ষা করা হবে বলে খবর। ওই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলে ফের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করা হবে।
করোনা-আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনেই কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণহীন অঞ্চল থেকে শ্রমিক আনার পাশাপাশি, তাঁদের পরীক্ষা করে কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু তার পরেও সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মেট্রো আধিকারিকদের একাংশের মতে, বৌবাজার এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন কর্মী এবং আধিকারিকদের একাংশ। আধিকারিদের কেউ কেউ পরিবার বা পরিচিতের সংস্পর্শে এসেও সংক্রমিত হতে পারেন। তবে এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে অসুস্থতা তেমন প্রকট নয় বলেই খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy