ছুটির পরে সবে মাত্র কলেজ থেকে বেরোচ্ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। হঠাৎ ইটের টুকরো ছুটে আসে তাঁদের দিকে। পড়িমরি করে কেউ পাশের গলিতে, কেউ বা অন্যের বাড়িতে ছুটে গিয়ে আশ্রয় নেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমহার্স্ট স্ট্রিটের আনন্দমোহন কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ বছর স্নাতকের ভর্তি তালিকা খতিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন ওই কলেজে নির্দিষ্ট আসনের থেকে ১১০ জন অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। তার পরেই সিন্ডিকেট তাঁদের রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় এ দিন ওই পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। পুলিশ জানায়, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় তাঁরাই এ দিন ইট ছুড়ে কলেজে গোলমাল পাকান। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সূত্রের দাবি, এই আন্দোলনকারীদের মদত দেয় তাদেরই সংগঠনের একটি গোষ্ঠী। অন্য গোষ্ঠী তার বিরোধিতা করায় গোলমাল শুরু হয়।
এ দিনই টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় উত্তর কলকাতার শ্রীশচন্দ্র কলেজে। সন্ধ্যায় কলেজের গেটে দু’গোষ্ঠী একে অপরের দিকে কাচের বোতল ছোড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কলেজ সূত্রের জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই শ্যামবাজারের ওই কলেজে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। এ দিন তা চরম আকার নেয়। অভিযোগ, একটি গোষ্ঠী প্রথমে মার খেয়ে চলে গেলেও পরে তারাই ফিরে এসে বোতল ছোড়ে। ঘটনায় মহম্মদ মিরাজ, লালসাহেব গুপ্ত ও অমিত চৌবে নামে শ্রীশচন্দ্রের তিন ছাত্র আহত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy