Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সোনারপুরে বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে দুই, ধৃত অভিযুক্ত

পুলিশ জানায়, বাজি কারখানার বিস্ফোরণে আহত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অমিত শিউলি (২০) নামে তাঁদেরই এক জন শনিবার মারা যান। তাঁর বাড়ি সোনারপুরের দক্ষিণ গোবিন্দপুরে। 

সোনারপুরের বাজি কারখানায় আগুন নেভানোর কাজ। —ফাইল চিত্র

সোনারপুরের বাজি কারখানায় আগুন নেভানোর কাজ। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩৯
Share: Save:

সোনারপুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণে আহত কর্মীদের এক জন শনিবার রাতে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। এই নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। বাজি কারখানার বিস্ফোরণে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কারখানার মালিক পরিবারের আত্মীয় এবং ওই কারখানায় টাকা ঢেলেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, বাজি কারখানার বিস্ফোরণে আহত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অমিত শিউলি (২০) নামে তাঁদেরই এক জন শনিবার মারা যান। তাঁর বাড়ি সোনারপুরের দক্ষিণ গোবিন্দপুরে।

৭ অক্টোবর সোনারপুরের গোবিন্দপুরে ওই বাজি কারখানায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। সে-দিনই দেবাশিস সর্দার (১৯) নামে কারখানার এক কর্মী মারা যান। অন্য ১৩ জন কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় অমিতের।

ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্তদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া এবং পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে পল্টু ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে শনিবার রাতে যাদবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি যাদবপুর এলাকাতেই।

পুলিশ জানায়, পল্টু ওই বাজি কারখানার মূল বিনিয়োগকারী। বিস্ফোরণের তিনিই নিজের বাড়িতে মূল অভিযুক্তদের আশ্রয় দেন এবং তাঁদের পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ। কারখানার মালিক তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করে পুলিশ পল্টুর নাম জানতে পারে।

পল্টু হলেন তরুণবাবুর ছেলে রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভায়রাভাই। বাজি কারখানার সঙ্গে তরুণবাবুর দুই ছেলে ও দুই বৌমা যুক্ত। কারখানার লাইসেন্স তাঁর এক বৌমা মলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। বিস্ফোরণের পরে পল্টু তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে তরুণবাবুর দুই ছেলে, বৌমাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। তার পরে সব অভিযুক্তই সেখান থেকে পালিয়ে যান। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, পল্টুই মূল অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেন। তাঁকে জেরা করে পলাতকদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

death Arrest Explosion fire Cracker Factory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE