প্রতীকী ছবি।
জুজুয়া খুনে গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত আব্দুল কাদের ওরফে প্রেম। ধরা হয়েছে আরও এক অভিযুক্ত গুলজারকেও। হাওড়া সিটি পুলিশ শুক্রবার মুম্বই থেকে শিবপুরের ওই দু’জনকে ধরেছে।
হাওড়ার ত্রাস রামুয়া খুন হওয়ার পরেই তার নিজের এলাকায় খুন হয়েছিল অন্য দুষ্কৃতী জুজুয়া। গত ১৬ জানুয়ারি মনোয়ার আলি ওরফে গুড্ডু ওরফে জুজুয়া নামে শিবপুরের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর দেহ গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল হাওড়ার সন্ধ্যাবাজার ও ফজির বাজারের মাঝে জিটি রোডের ধারে একটি ভ্যান রিকশার উপরে। চাঞ্চল্যকর সেই খুনের অভিযোগে আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করলেও প্রেম ও গুলজার ফেরার ছিল। প্রেমের বিরুদ্ধে শিবপুরে এক কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগও ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে তোলা হবে।
এক সময়ে রামুয়ার অন্যতম সঙ্গী ছিল এই গুড্ডু। তার বিরুদ্ধে এলাকায় খুন, ডাকাতি, রাহাজানি-সহ নানা অপরাধের অভিযোগ ছিল। টাকা পয়সার ভাগ নিয়ে পরবর্তী কালে রামুয়ার শত্রু হয়ে যায় সে। খুন হওয়ার ভয়ে গত কয়েক বছর ধরে হাওড়ায় নরসিংহ বোস লেনের বাড়িতে গুড্ডু থাকত না। ঘটনার রাতে শিবপুরের পিএম বস্তিতে সে এসেছিল একটি জলসায় যোগ দিতে। সেখানে মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করা নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে তার গোলমাল হয়। পুলিশের দাবি, পুরনো শত্রুতা থাকায় এই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় পিএম বস্তি এলাকার আর এক দুষ্কতী প্রেম। জলসায় গোলমাল করার খবর পেয়ে এলাকার এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ প্রেম ওই দিন দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে গুড্ডুকে ‘নিকেশ’ করার পরিকল্পনা করে। পুলিশ জানায়, এর পরে ভোরে যখন গুড্ডু মত্ত অবস্থায় হেঁটে বাড়ি ফিরছিল, তখন মোটারবাইকে এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে পালায়।
ঘটনার পরেই পুলিশ গুড্ডুকে খুনের অভিযোগে মহম্মদ নিহাল ওরফে তামান্না এবং মহম্মদ আব্দুল ওরফে পোলাড নামে পিএম বস্তির বাসিন্দা দুই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রেম এবং গুলজারের নাম পায় পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পরেই তারা গা ঢাকা দেওয়ায় তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি খবর আসে তারা মুম্বইয়ে এক বন্ধুর আশ্রয়ে রয়েছে। সেখানে হানা দিয়ে মুম্বই পুলিশের সাহায্য নিয়ে ধরা হয় দু’জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy