Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চেক চুরি করায় গ্রেফতার দু’জন

যাদবপুরের বাপুজিনগরের বাসিন্দা এক দম্পতির চেক চুরি করে লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল বাড়িরই পরিচারিকা এবং তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ফেব্রুয়ারি মাসের। তার এক মাসের মাথায়, মঙ্গলবার ওই দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

যাদবপুরের বাপুজিনগরের বাসিন্দা এক দম্পতির চেক চুরি করে লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল বাড়িরই পরিচারিকা এবং তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ফেব্রুয়ারি মাসের। তার এক মাসের মাথায়, মঙ্গলবার ওই দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুজাউদ্দিন ঘরামি এবং সুমনা হালদার। সুমনা ওই দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। এ দিন মথুরাপুর থেকে সুজাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেন যাদবপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা। তাকে জেরা করে লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুমনা ওরফে মীনাকে। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতেরা একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপুজিনগরের ওই বৃদ্ধা সবিতা ভট্টাচার্য অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য অসুস্থ থাকায় ৭ ডিসেম্বর তিনি সুমনা ও সুজাউদ্দিনকে নিয়ে যাদবপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে স্বামীর পেনশন তুলতে যান। চোখে ভাল দেখতে না পাওয়ায় সবিতাদেবীকে সাহায্য করে ওই দু’জন। বৃদ্ধার অভিযোগ, টাকা তুলে আনার দিন কয়েক পরে তিনি দেখতে পান, দু’টি ব্যাঙ্কের ইস্যু করা চেক বইয়ের চার-পাঁচটি পাতা ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, তিনি দেখেন খোঁজ নেই সুমনারও। এর পরেই সবিতাদেবীর মেয়ে ব্যাঙ্কে খোঁজ নেন। তিনি সেখান থেকে জানতে পারেন, ওই দু’টি অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই।

তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, মথুরাপুরের দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে চেক ইস্যু করে ধাপে ধাপে ২৪ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। একটি অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম সুজাউদ্দিন। কিন্তু ব্যাঙ্কের নথিতে তার যে ঠিকানা দেওয়া রয়েছে, তা ভুয়ো। পুলিশের দাবি, এর কিছু দিন পরে জানা যায়, মথুরাপুরে সুজাউদ্দিনের কম্পিউটারের দোকান আছে। গত দু’দিন ধরে যাদবপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা সেখানে লুকিয়ে থেকে মঙ্গলবার সুজাউদ্দিনের দেখা পান।

পুলিশের দাবি, সুমনার স্বামীর সঙ্গে সুজাউদ্দিনের পরিচয়ের সূত্র ধরেই তারা চেক হাতানোর পরিকল্পনা করে। সেই মতো সুমনা সবিতাদেবীর বাড়িতে কাজে যোগ দিয়ে প্রথমে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে। ব্যাঙ্কের সব কাজ করে দেবে বলে এক ‘আত্মীয়’ বাপিকে পরিচয়ও করায়। এর পরেই ব্যাঙ্কে টাকা তোলার সময়ে চেক বইয়ের পাঁচটি পাতা ছিঁড়ে নেয় সুমনা। সে এবং বাপি আগে থেকেই ব্ল্যাঙ্ক চেকে ওই দম্পতির সই সংগ্রহ করে রেখেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেকগুলি নিয়ে সুমনা যায় সুজাউদ্দিনের কাছে। সে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রত্নেশ্বরপুর শাখা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। সুমনা অন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতায় ছ’লক্ষ টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cheque police Arrested Steal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE