Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রেসিডেন্সিতে জাল অ্যাডমিট, ধৃত ২

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, হাতে ওই জাল অ্যাডমিট কার্ড আসার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত বিষয়টি জানান রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনারকে। প্রদীপবাবু এবং সুমনবাবুকে রেজিস্ট্রারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। চলে আসেন অন্য কর্তারাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:০২
Share: Save:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএ কোর্সে মেয়েকে ভর্তি করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন বাবা। তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এসে গেলেও কোনও দিনক্ষণ জানানো হয়নি। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে পরীক্ষা নিয়ামকের কাছে পৌঁছে হম্বিতম্বি শুরু করেন তিনি।

পরীক্ষা নিয়ামক হতবাক। এমন কোনও কোর্স তো ওখানে পড়ানোই হয় না। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওই অ্যাডমিট কার্ডটিই জাল। এ বার কর্তৃপক্ষ যত না অবাক, ছাত্রীর বাবা তার চেয়েও বেশি! তিনি জানান, এখানে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যেই মেয়ের গৃহশিক্ষককে টাকাও দিয়েছেন তিনি। তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই গৃহশিক্ষকই প্রতারণার মূল চক্রী। তবে ছাত্রীর বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে গৃহশিক্ষকের। বাবা জানিয়েছেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন।

শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ধৃতদের নাম প্রদীপকুমার মণ্ডল ও তাঁর সঙ্গী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, তিনি ওই ছাত্রীর বাবা। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো নথির চক্রে জড়িত সন্দেহে ওই গৃহশিক্ষকের খোঁজ চলছে।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, হাতে ওই জাল অ্যাডমিট কার্ড আসার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত বিষয়টি জানান রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনারকে। প্রদীপবাবু এবং সুমনবাবুকে রেজিস্ট্রারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। চলে আসেন অন্য কর্তারাও। তখন নথি যাচাই করে রেজিস্ট্রার দেখেন, অ্যাডমিট কার্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো এবং নীলাঞ্জনবাবুর সই জাল করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয় জোড়াসাঁকো থানায়। শনিবার দেবজ্যোতিবাবু বলেন, ‘‘আমরা নথিগুলি দেখে পুলিশকে জানিয়েছি। যা করার পুলিশ করবে।’’

প্রদীপবাবু পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, আরও কারা ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজে ভর্তির সময়ে বহিরাগত বেশ কয়েক জন যুবক ভুয়ো মার্কশিট তৈরি করেছিল। পরে তারা গ্রেফতারও হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE