প্রতীকী ছবি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই মহিলার। জখম হয়েছেন চার জন। রবিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর গৌরাঙ্গপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃত দুই মহিলা অর্চনা দাস (৪৫), চম্পা সিংহ (৪৬) এবং জখমেরা সকলেই কলকাতার নাগেরবাজারের বাসিন্দা। জখমদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম এলাকার বাসিন্দা তাপস দাস পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের দাস্তিপাড়া এলাকায়। এ দিন দমদমে সকালে ভোট দিয়ে তাপসবাবু তাঁর স্ত্রী, ছেলে, বেয়ান, বেয়াই ও শ্যালিকার মেয়েকে নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে দাস্তিপাড়ায় আসছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, দাস্তিপাড়া থেকে জামালপুরে বুড়োরাজের মেলায় যাওয়ার।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, দুপুর ১টা নাগাদ দাস্তিপাড়ার পথে গৌরাঙ্গপাড়ায় গাড়ির সামনে চলে আসে একটি টোটো। রাস্তার ডান দিকে থাকা টোটো-র সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তার পরেই এসটিকেকে রোডের পাশে থাকা একটি বড় গাছে ধাক্কা মারে দ্রুত গতিতে চলা গাড়িটি।
দুর্ঘটনার পরে এলাকাবাসী এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার সকলকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে তাপসবাবুর বেয়ান চম্পাদেবীকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। বিকেল ৪টে নাগাদ চিকিৎসকেরা তাপসবাবুর স্ত্রী অর্চনাদেবীকেও মৃত বলে জানান। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবুর বেয়াই বিকাশ সিংহের মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। বিকাশবাবু-সহ অন্য চার জনকেই কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান নিকটাত্মীয়েরা। অর্চনাদেবীর মৃত্যুর পরে এলাকাবাসীর একাংশ অভিযোগ করেন, তাঁকে দ্রুত স্থানান্তরিত করানো গেলে তিনি হয়তো বেঁচে যেতেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গৌরাঙ্গপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছিল তাপসবাবুর। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পরেই দেখি, গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy