প্রতীকী ছবি।
দোলের দিন রং খেলার পরে পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’টি অবশ্য পৃথক ঘটনা। তবে রবিবার দু’টিই ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক এলাকায়। মৃতদের এক জন মধ্যবয়স্ক, অন্য জন যুবক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এক পরিচিতের বাড়িতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দোলে রং খেলতে এসেছিলেন। তার পরে স্নান করতে নেমেছিলেন সেই বাড়ির লাগোয়া পুকুরে। সঙ্গে অন্য কয়েক জন বন্ধুও। তার পরে আর উঠলেন না রমেশ পোদ্দার (২৪)। রবিবার বিকেলে রিজেন্ট পার্ক এলাকার দীনেশনগরের ঘটনা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে নেমে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে জল থেকে তোলেন। টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি, ওই যুবক মত্ত অবস্থায় পুকুরে নেমেছিলেন।
পুলিশে বারবার খবর দেওয়া সত্ত্বেও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডুবুরি কেন সময় মতো পাঠানো হল না, তা নিয়ে এলাকার মানুষের একাংশ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ধাক্কাধাক্কিও হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত যুবক রমেশের বাড়ি রিজেন্ট পার্ক এলাকায় নয়। তিনি পিকনিক গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা। এক বন্ধুর আত্মীয়ের বাড়িতে তিনি দোল উপলক্ষে এ দিন সকালে দীনেশনগরে এসেছিলেন। রং খেলে বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান তিনি। পুলিশের ডুবুরি পৌঁছনোর আগেই সাড়ে চারটে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা রমেশের দেহ তুলে আনেন।
এ দিনই সন্ধ্যায় রিজেন্ট পার্ক এলাকার নন্দীপাড়ায় পুকুরে ডুবে বঙ্কু চক্রবর্তী (৫৫) নামে এক বাসিন্দা মারা যান। তবে তিনি যে পাড়ার পুকুরে স্নান করতে নেমেছেন, সেটা বাড়ির লোকেরা জানতেন না। সন্ধ্যা নামার পরেও তিনি ফিরছেন না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তখন দেখা যায়, পুকুর পাড়ে বঙ্কুবাবুর হাওয়াই চটি ও স্যান্ডো গেঞ্জি রাখা। তা থেকে বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়, পুকুরে স্নান করতে নেমেই কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। রিজেন্ট পার্ক থানায় খবর দিলে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডুবুরিরা কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বঙ্কুবাবুকে অচেতন অবস্থায় জল থেকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy