আদতে এ রাজ্যের বাসিন্দা। কিন্তু দুই যুবকের ‘কর্মক্ষেত্র’ ছিল মুম্বই থেকে গোয়া রুটের ট্রেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, খিদিরপুরের দুই যুবক মুম্বই-গোয়া রুটের বাতানুকূল প্রথম শ্রেণিতে উঠে নিজেদের সরকারি অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে ভাব জমাত। তার পরে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নেমে যেত। বৃহস্পতিবার ওয়াটগঞ্জ থানার সাহায্যে মুম্বই রেল পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা খিদিরপুর থেকে পাকড়াও করেন ওই দুই দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের নাম বসরত হোসেন এবং মহম্মদ ফিরোজ। বসরতের বাড়ি পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায়। ফিরোজের বাড়ি হাওড়ার সাঁকরাইলে।
শুক্রবার ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে তা মঞ্জুর হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই চক্রের আর এক সদস্য পলাতক। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো সরকারি পরিচয়পত্র এবং ভোটার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্চে গোয়াগামী একটি সুপার ফাস্ট ট্রেনে শুল্ক অফিসার সেজে উঠে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল বসরতেরা। তবে তাদের আপাতত ২০১৬ সালের জুনে পানভেল রেল পুলিশ থানায় দায়ের হওয়া একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বসরতেরা একাধিক নাম এবং পরিচয় ব্যবহার করায় প্রথমে তাদের শনাক্ত করা যায়নি। মার্চে সুপারফাস্ট ট্রেনে যাত্রীকে মাদক খাইয়ে লুটপাটের পরে মাদগাঁও স্টেশনে নামে তারা। সেই স্টেশনের বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। ফুটেজ সূত্রেই একটি হোটেলের সন্ধান মেলে। যেখানে ধৃতেরা ঘর ভাড়া নিয়েছিল। ভুয়ো পরিচয়পত্র দিলেও হোটেলের রেজিস্টারে একটি ফোন নম্বর দিয়েছিল তারা। সেই ফোনের পুরনো কল ডিটেলস থেকে খিদিরপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সন্ধান মেলে। সেই সূত্রে রেল পুলিশের দল কলকাতায় আসে। বসরত সেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy