ফাইল চিত্র
পোষ্য নেড়ির শেষকৃত্য কে করবে? তা নিয়ে দুই পশুপ্রেমী মহিলার গোলমালের জেরে রীতিমতো হুলস্থুল কাণ্ড থানায়। শেষে মিটমাট করিয়ে পোষ্য নেড়ির শেষকৃত্য করাল পুলিশ। গড়িয়াহাট থানা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার গড়িয়াহাট থানায় হাজির হন ফার্ন রোডের পশুপ্রেমী বাসিন্দা সঞ্চিতা দত্ত। অভিযোগ, ডোভার টেরেসের বাসিন্দা পিয়ালী কর্মকার গত অগস্টে পাঁচটি নেড়ি তাঁর কাছে রেখে
গিয়েছিলেন। সোমবারই তাদের একটি অসুস্থতার কারণে মারা যায়। কিন্তু শেষকৃত্যের জন্য পিয়ালীদেবী কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সঞ্চিতাদেবী। আরও অভিযোগ, বাকি কুকুরগুলিও অসুস্থ, কিন্তু তাদের আর ফিরিয়ে নিতে চাইছেন না পিয়ালীদেবী।
এর পরেই থানায় এসে পিয়ালীদেবী পাল্টা জানান, সঞ্চিতাদেবীই নিজে থেকে ওই কুকুরগুলিকে চেয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই মৃত কুকুরটির শেষকৃত্যের দায়ও তাঁর। দুই পশুপ্রেমীর এ হেন বাগবিতণ্ডায় সরগরম হয়ে ওঠে গড়িয়াহাট থানা। শেষে আসরে নেমে মধ্যস্থতা করতে
হয় পুলিশকে।
প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়, সঞ্চিতাদেবীই মৃত পোষ্যের শেষকৃত্য করবেন। কিন্তু তিনি বেঁকে বসে জানান, শেষকৃত্য করলেও বাকি চারটি কুকুরকে ফেরত নিতে হবে পিয়ালীদেবীকে। গত তিন মাস ধরে ওই কুকুরদের দেখভাল বাবদ দু’হাজার টাকা দিতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু পিয়ালীদেবী তাতে রাজি হননি। ফলে ফের মধ্যস্থতা করতে হয় পুলিশকে।
প্রথম দফায় বোঝাপড়ার পরে পিয়ালীদেবী মৃত কুকুরের শেষকৃত্য করেন। কিন্তু ফের পুলিশের
কাছে হাজির হন সঞ্চিতাদেবী। এ বার তাঁর দাবি, বাকি চার কুকুরকে ফিরিয়ে নিতে হবে। ফের ডাকা হয় পিয়ালীদেবীকে। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় দফায় বাদানুবাদের পরে বাকি চার পোষ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে যান পিয়ালীদেবী। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy