প্রতীকী ছবি।
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি শপিং মল। তার এক তলায় ঝাঁ-চকচকে গয়নার দোকান। দুই মহিলা ক্রেতা সেখানে ঢুকে সোনা ও হিরের আংটি দেখাতে বললেন সেলসগার্লকে। শো-কেস থেকে একটি হিরের আংটি বার করে দুই মহিলাকে দেখানো হল। ওই দু’জন এর পরে সোনার আংটি দেখতে চাইলেন। মিনিট কুড়ি পরে জিনিস পছন্দ হচ্ছে না, এই অছিলায় দোকান ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন দু’জনেই। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে দোকানের মালিককে ওই সেলসগার্ল জানালেন, হিরে বসানো একটি আংটির হদিস মিলছে না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর যাদবপুর থানায় হিরের আংটি চুরির একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লালবাজারের গোয়েন্দারা শনিবার সোনারপুরের নোবিয়া বিবি এবং ভাঙড়ের বাসিন্দা মুমতাজ বেগম নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেন। গোয়েন্দারা জানান, নোবিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এ দিন পৌনে দু’লক্ষ টাকা মূল্যের ওই আংটিও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ দিন অভিযুক্ত দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতেরা অন্য কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা জানতে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ধৃতদের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
কী করে উদ্ধার হল আংটি? সূত্রের খবর, গয়নার দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বোঝা যায়, সেলসগার্লের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এক সময়ে হাত সাফাই করে আংটি সরিয়ে নেয় নোবিয়া। হাতের নিপুণ কারসাজিতে সে আংটি সরিয়ে মুমতাজকে নিয়ে দোকান ছেড়ে বেরিয়ে যায়। গোয়েন্দারা ফুটেজের ছবি দেখান সোর্সদের। সেখান থেকেই নোবিয়া ও মুমতাজের সন্ধান মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy