Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধ ঘর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই কিশোরীর মা পরিচারিকার কাজ করেন। কিশোরীর বাবা রিকশাচালক। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কাজের ফাঁকেই বাড়ি ফিরে কিশোরীর মা দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩৬
Share: Save:

ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে, রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই কিশোরীর মা পরিচারিকার কাজ করেন। কিশোরীর বাবা রিকশাচালক। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কাজের ফাঁকেই বাড়ি ফিরে কিশোরীর মা দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। মেয়ের নাম করে একাধিক বার ডেকেও সাড়া পাননি তিনি। এর পরেই প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় এক যুবক এসে বন্ধ দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে কিশোরীকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, সামনের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল স্থানীয় ওই স্কুলছাত্রীর। আজ, বুধবার থেকেই তার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, স্কুলে বরাবর ভাল ফলাফল করত মেয়েটি। কিন্তু গত তিন মাস ধরে লেখাপড়া থেকে নিজেকে ক্রমশ গুটিয়ে রাখতে শুরু করেছিল সে। এমনকি, টেস্ট পরীক্ষাতেও

বসতে চায়নি ওই ছাত্রী। পড়াশোনা নিয়ে তার মা-বাবা তাকে বকাবকি করতেন। পাড়াতেও সমবয়সিদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা করত না চুপচাপ স্বভাবের মেয়েটি।

এ দিন ওই কিশোরীর মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘এত কষ্টের মধ্যেও মেয়েটাকে লেখাপড়া শেখাচ্ছিলাম। আমরা শুধু ওকে লেখাপড়া করতেই বলতাম। আজ তো ওকে বকাবকিও করিনি। কিন্তু কী ভেবে এমন একটা কাজ করল, সেটাই তো বুঝে উঠতে পারছি না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Student Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE