পাপিয়া মণ্ডল
এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল জোকার ইয়ানি সরণিতে।
ওই তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তরুণীর দেহ বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না বলে জানান তাঁর বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে হরিদেবপুর থানার পুলিশকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বার করে আনতে হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে ইয়ানি সরণির বাসিন্দা পাপিয়া মণ্ডল নামে ওই তরুণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়। তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে দুপুরে তরুণীর বাড়িতে খবর দেন। তার পরেই মৃতার বাড়ির লোকজন এসে দাবি করেন, ওই মৃত্যু স্বাভাবিক বা আত্মহত্যা, কোনওটাই নয়।
তরুণীর পরিবার জানায়, চার মাস আগে পাপিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন পাড়ারই ছেলে আবুল কালাম মিদ্যাকে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পরে তাঁকে বাপের বাড়ি যেতে দেওয়া হত না। মত্ত অবস্থায় তরুণীর উপরে তাঁর স্বামী অত্যাচার চালাতেন। এমনকি, তরুণী তাঁর স্বামীকে মদ ছেড়ে দিতে বলেও অত্যাচারিত হতেন, অভিযোগ এমনও।
তরুণীর পরিবারের দাবি, বুধবার রাতেও মদ্যপান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে পাপিয়ার গোলমাল হয়। তার পরেই এ দিন সকালে পাপিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁদের অভিযোগ, তরুণীকে নামিয়ে আনার পরে তাঁর বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়নি। তাঁরা জানান, খবর পেয়ে গিয়ে দেখা যায়, মেয়েকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু গলায় কোনও দাগ নেই। আত্মহত্যা করে থাকলে তরুণীর গলায় ফাঁসের দাগ নেই কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে তাঁর পরিবার।
যদিও পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির দাবি, এ দিন সকালে তাঁদের ছেলে অফিসে যাওয়ার সময়ে তেতলা থেকে নেমে এসে স্ত্রীকে দেখতে পাননি। পরে একতলার একটি বন্ধ ঘরে তাঁদের পরিবারের বধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলেই তরুণীর শ্বশুরবাড়ির দাবি। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy