মৃতের পরিজনদের মারধরে জখম জুনিয়র ডাক্তার অভিষেক কুমার ঝা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
জুনিয়র ডাক্তারদের গাফিলতিতে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে উত্তাল আর জি কর হাসপাতাল। মৃতের পরিজনদের মারে হাত ভাঙল জুনিয়র ডাক্তারের। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে টালা গ্রেফতার করল এক জনকে। গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথ অবরোধ, থানা ঘেরাও চলল রবিবার সকাল থেকে। জুনিয়র ডাক্তাররা আর জি করে পাল্টা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
শনিবার রাতে লেকটাউনে একটি গাড়ি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়।গাড়ির চার আরোহী জখম হন। তাঁদের আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। বাকি দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে দীপক সিংহ নামে বছর আঠাশের এক যুবক বাড়ি ফিরে মাথার যন্ত্রণায় কাহিল হয়ে পড়েন। কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা দীপক। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় পরিজন ও বন্ধুরা তাঁকে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ফের আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযোগ, দীপকের অবস্থা গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও গুরুত্ব দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। অযথা টালবাহানার জেরে চিকিৎসা শুরুর আগেই দীপকের মৃত্যু হয়। দীপকের পরিজনদের দাবি, জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছিলেন, চিপ্স খাচ্ছিলেন। দীপকের অবস্থা গুরুতর বলে বার বার জানানো সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসা দ্রুত শুরু করার কোনও চেষ্টা জুনিয়র ডাক্তাররা করেননি।
আরও পড়ুন:
নবান্নে আটকে বিল, হাত তুলছে হাসপাতাল
দীপকের মৃত্যুর জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মৃতের পরিজন ও বন্ধুরা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হন। বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হাত ভাঙে জুনিয়র ডাক্তার অভিষেক কুমার ঝা-এর।
এই ঘটনার পর আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা টালা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। খুনের চেষ্টার অভিযোগে মৃত দীপক সিংহের এক বন্ধুকে টালা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। এর প্রতিবাদে টালা ব্রিজে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। অবরোধ কিছুক্ষণ পর উঠে গেলেও, টালা থানায় ঘেরাও চলতে থাকে ধৃতের মুক্তির দাবিতে। তবে পুলিশ ধৃত যুবককে ছাড়েনি। জুনিয়র ডাক্তাররাও পাল্টা আন্দোলনে নেমেছেন। রোগীর মৃত্যু হলেই বার বার তাঁদের আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ জুনিয়রদের। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে আর জি কর হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy