একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ঘিরে বৃহস্পতিবার ভাঙচুর হল ব্যারাকপুর গার্লস হাইস্কুলে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থা করেন অভিভাবকদের একাংশ। ভাঙচুর হয় প্রধান শিক্ষিকার ঘরে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। স্কুলের তরফে অবশ্য রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ জানায়, ভর্তির জন্য সকাল থেকেই ভিড় ছিল। অভিযোগ, হঠাৎ কিছু অভিভাবক প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢোকেন। অনন্যা মুখোপাধ্যায় নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘ভর্তি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। হঠাৎ দেখি কয়েক জন বড়দির ঘরে ঢুকে গোলমাল শুরু করলেন। এর জেরে ভর্তি বহুক্ষণ আটকে ছিল।’’
কেন হঠাৎ হামলা? অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, নোটিস বোর্ডে ন্যূনতম যে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির কথা লেখা আছে, তার থেকে বেশি নম্বরেও কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে অস্বীকার করছেন। তাঁরা সরাসরি এই অভিযোগ আনেন প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। স্কুল সূত্রে খবর, এ বার ২৪৯ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সকলে পাশ করেছে। এর মধ্যে প্রথম বিভাগেই ১৭০ জন। এ দিকে, উচ্চ মাধ্যমিকে আসন দেড়শোটি।
প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা দাশগুপ্তর অভিযোগ, ‘‘১৫০ জনের জায়গায় আরও দশ জন বাড়ানো যায়। কিন্তু সকলকে নেওয়ার মতো পরিকাঠামোই তো নেই। আর অভিভাবকদের অভিযোগও ঠিক নয়। মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি নিতে হবে।’’ ছন্দাদেবী আরও বলেন, ‘‘একদল লোক ও মহিলা অভিভাবক পরিচয়ে আমার ঘরে ঢুকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সব ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার দাবি জানান। আমি বলি, স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে জানাব। এর পরেই আমাকে গালিগালাজ করে চেয়ার থেকে ফেলে দেওয়া হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়কেও হুমকি দেওয়া হয়। ভাঙচুরও চালানো হয়। এমনকী, সবাইকে ভর্তি করানোর মুচলেকাও লিখিয়ে নেন ওঁরা।’’ এ দিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্কুলের সামনে বসানো হয় পুলিশ পিকেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy