Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বদলাতে চলেছে হিন্দু হস্টেলের শৌচাগার

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওই হস্টেল ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

ভবনের হেরিটেজ চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় শৌচাগার। তাই হিন্দু হস্টেলের ওই শৌচাগারগুলি নিয়ে কী করা হবে, পুরোপুরি ভাঙা হবে নাকি ভবনের চরিত্রের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তা নতুন করে নির্মাণ করা হবে, তা নিয়েই এ বার প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে। হিন্দু হস্টেল সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হেরিটেজ স্থপতি পার্থরঞ্জন দাস ওই প্রস্তাব তৈরি করছেন। এর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেমন বলবেন, তেমন ভাবেই কাজ করা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওই হস্টেল ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময়ে আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় রাজারহাটে। কথা ছিল, ১১ মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করে চালু হয়ে যাবে হিন্দু হস্টেল। কিন্তু এত দিনেও তা হয়নি।

হিন্দু হস্টেলের শৌচাগারগুলি সম্পর্কে পার্থরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘পূর্ত দফতর বিভিন্ন সময়ে ওই বিল্ডিংয়ে শৌচাগার তৈরি করেছে, যেগুলি ওই বিল্ডিংয়ের হেরিটেজ চরিত্রের সঙ্গে খাপ খায় না। সেগুলি ভেঙে ফেলা হবে না কি সেগুলি পুনরায় এমন ভাবে নির্মাণ করা হবে, যার মধ্যে হেরিটেজ চরিত্র রয়েছে, আপাতত তা নিয়েই প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে।’’

শুধু তা-ই নয়, শৌচাগারের সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ভবনের কাঠের সিঁড়িও যাতে মজবুত হয়, সে দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে। কারণ, যখন ওই ভবন তৈরি হয়েছিল, তখন যত সংখ্যক আবাসিক ওখানে থাকতেন, তার থেকে বর্তমানে আবাসিক সংখ্যা বেড়েছে। ফলে মানুষের যাতায়াতও বেড়েছে। সেই অনুযায়ীই শৌচাগারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি কাঠের সিঁড়িও পাকাপোক্ত করা হবে। কিন্তু যা-ই রদবদল হোক না কেন, তা শতাব্দীপ্রাচীন হেরিটেজ কাঠামোর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই করা হবে বলে পার্থরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন।

ওই ভবনের অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় কিছুই নেই বলে ধরা পড়েছে পরিদর্শনে। ফলে ভবন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে বলে জানাচ্ছেন পার্থরঞ্জনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার অ্যালার্ম সবই নতুন করে বসাতে হবে।’’ ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে হিন্দু হস্টেলের মেঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাত্মক ভাবে। সেই মেঝে সংস্কারের কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের রিপোর্টে আগেই বলা হয়েছিল যে, কলেজের একটি উইংয়ে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, ছাত্রীদের থাকতে হয় সল্টলেকে। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসুও বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ফলে প্রস্তাবটি কার্যকর হলে ছাত্রীদের শৌচাগারের ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্থরঞ্জনবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE