এক ব্যক্তির কাতর আবেদনে সা়ড়া দিয়ে তাঁকে সাহায্য করতে গিয়ে মানিব্যাগ, মোবাইল, এমনকী গলায় থাকা সোনার চেনটিও খোয়াতে হয়েছিল অভিযোগকারীকে। যিনি সাহায্য চেয়েছিলেন, তিনিই পরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে জানালেন, তিনি ম্যাজিশিয়ান। সেই হাত সাফাইয়ের কারসাজিতেই সব কিছু হাতিয়েছিলেন। ঘটনাটি পাটুলি থানা এলাকার।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২২ জুন পাটুলি থানায় দেবাশিস গিরি নামে এক ব্যক্তি ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি কাজ করেন একটি বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রের শো-রুমে। দেবাশিসের অভিযোগ, ২২ তারিখ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে তাঁর সঙ্গে মেট্রোয় এক ব্যক্তির আলাপ হয়। তিনি দেবাশিসের কাছে কিছু টাকা চান। বেশ কিছুক্ষণ ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার পরে দেবাশিস রাজি হন টাকা দিতে। কিন্তু পকেটে সেই মুহূর্তে টাকা না থাকায় তিনি ওই যুবককে নিয়ে মাঝপথেই মেট্রো থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে নেমে পড়েন।
দেবাশিসের দাবি, ওই মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এটিএমে ঢুকতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তাঁর! দেখেন, পকেটে মানিব্যাগ ও মোবাইল নেই। গলার সোনার চেনটাও নেই! পিছন ফিরে দেখেন, সেই যুবকও হাওয়া!
তদন্তে নেমে পাটুলি থানার পুলিশ সোনারপুর থেকে বৃহস্পতিবার সুবীর শেখ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরায় সুবীর জানান, তিনি এক জন পেশাদার ম্যাজিশিয়ান।
সেই ম্যাজিক দেখানোর কৌশলেই তিনি দেবাশিসের পকেট থেকে মানিব্যাগ, মোবাইল এবং গলা থেকে সোনার চেন হাতিয়ে নিয়েছিলেন। সুবীরকে গ্রেফতারের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া মোবাইল ও সোনার চেনটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy