Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ডুবল বেহালা, নাজেহাল বাসিন্দারা

এ দিন বৃষ্টির পরে দেখা যায়, বেহালার কোথাও রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। কোথাও আবার স্ট্যান্ডে অটো থাকলেও চালাতে নারাজ চালকেরা।

বিপত্তি: গাছ উপড়ে পড়েছে গাড়ির উপরে। শুক্রবার সন্ধ্যায়, বেহালার রায়বাহাদুর রোডে। ছবি: অরুণ লোধ

বিপত্তি: গাছ উপড়ে পড়েছে গাড়ির উপরে। শুক্রবার সন্ধ্যায়, বেহালার রায়বাহাদুর রোডে। ছবি: অরুণ লোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৫
Share: Save:

বিকেলের ভারী বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি দুর্ভোগ পোহালেন বেহালার বাসিন্দারা!

কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৮১.২ মিলিমিটার। আর তাতেই বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পথচারী থেকে গাড়িচালক, নাস্তানাবুদ হতে হয় সবাইকেই। রায়বাহাদুর রোডে একটি গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে বিশাল একটি গাছ।

এ দিন বৃষ্টির পরে দেখা যায়, বেহালার কোথাও রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। কোথাও আবার স্ট্যান্ডে অটো থাকলেও চালাতে নারাজ চালকেরা। কোথাও আবার সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকলেন অটো ও রিকশাচালকেরা। এ দিন বিকেল তিনটে থেকে শুরু হয়েছিল তুমুল বর্ষণ। এক ঘণ্টার মধ্যেই বুড়োশিবতলা, সেনহাটি কলোনি, এস এন রায় রোড, সাহাপুর মেন রোড, জয়কৃষ্ণ পাল রোড, বারিকপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। পাশাপাশি, হরিদেবপুর, পর্ণশ্রী, রবীন্দ্রনগর, মায়াগাছি রোড-সহ বেহালা পশ্চিমেরও বিভিন্ন এলাকা ভাসতে শুরু করে।

এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বেহালার প্রায় সর্বত্র জল জমে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হাঁটুজল ভেঙে কোনও মতে বাড়ি থেকে বেরোতে পারলেও রাস্তায় এসে যানবাহন না পাওয়ায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।’’ কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান দু’টি রাস্তা, ডায়মন্ড হারবার রোড এবং নিউ আলিপুর রোডও এ দিন জলে ভেসেছে। কয়েক মিনিটের পথ পেরোতে সময় লেগেছে কয়েক ঘণ্টা।

মূল রাস্তাগুলির পাশাপাশি বেহালার ভিতরের ছোটখাটো রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে থাকায় এ দিন অটো পরিষেবা ব্যাহত হয়। জল জমে যাওয়ায় পরিষেবা বন্ধ করে দেন চালকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘জল জমে থাকলে রাস্তা ও নিকাশি নালা আলাদা করে ঠাহর করা সম্ভব নয়। ওই অবস্থায় অটো চালালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার ইঞ্জিনে জল ঢুকে সমস্যা হতে পারে।’’ অটোচালকেরা জানান, এ দিন নিউ আলিপুর-রবীন্দ্র সরোবর ও তারাতলা-যাদবপুর রুটে পরিষেবা বন্ধ ছিল। বেহালা-রাসবিহারী রুটে অটো চললেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম।

বেহালার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার যে সমস্ত খালে জমা জল পড়ে, সেগুলি সংস্কারের অভাবে বুজে গিয়েছে। ফলে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতাও কমেছে। এ ছাড়া, পুকুরের সংখ্যাও কমেছে। সব মিলিয়ে স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন জলবন্দি হয়েই কাটাল বেহালা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Behala Water Logging Tree Uprooted
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE