বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে বন্ধুর দাদার বিয়ের মিষ্টি আনার সময়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শনিবার মৃত্যু হয়েছিল বিশ্বজিৎ ভুঁইয়া ও সঞ্জয় বনুর। সোমবার আর বৌভাতের অনুষ্ঠানও পালন করল না ওই বন্ধুর পরিবার।
এ দিন সুকান্তনগরের পাড়ায় স্থানীয় ক্লাবে বিশ্বজিৎ ও সঞ্জয়ের জন্য শোকসভার আয়োজন করা হয়। মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান সকলে।
বিশ্বজিৎ এবং সঞ্জয়ের পরিবারের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের পড়শিরাও। সোমবারই ওই দুই যুবকের পরিবারের সঙ্গে ফের দেখা করলেন বিধায়ক সুজিত বসু। আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যেও মেধাবী ছেলের পড়াশোনার জন্য লড়াই করেছিলেন বাবা— বিধায়ককে কাছে পেয়ে সেই স্বপ্নের কথাই জানান বিশ্বজিতের বাবা সুশীল ভুঁইয়া। এ দিন সঞ্জয়ের বাবা নীলরতন বনুও বিধায়ককে একই আক্ষেপের কথা জানান।
সঞ্জয়ের বোন রিনি এবং বিশ্বজিতের ভাই শুভজিৎ সুকান্তনগরের একটি স্কুলে পড়ে। সেই স্কুলের এক শিক্ষকও এ দিন হাজির ছিলেন। বিধায়ক তাঁকে জানান, খরচের কথা ভাবতে হবে না। কিন্তু বিশ্বজিৎ-সঞ্জয়ের ভাইবোনের পড়াশোনায় যেন সমস্যা না হয়।
সুজিতবাবুর সঙ্গে সোমবার বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর সর্দারও। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বিধায়কের কাছে ওই দুই পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।
তবে সব কিছুর ভিড়েও ছেলেকে বড় করার লড়াইয়ে আচমকা এই ছেদ মানতে পারছেন না তাঁর বাবা। ঘুরে ফিরে একটি কথাই তাঁর মুখে, ‘আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy