ছবি রয়টার্স।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং ভিন্ রাজ্য থেকে নিউ টাউন ও সল্টলেকে কর্মসূত্রে এসে আটকে পড়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। তাঁদের মোট সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে আটকে পড়া ওই শ্রমিকদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে হিডকো, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) এবং বিধাননগর পুরসভা।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, বিধাননগর পুলিশের মাধ্যমে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদ, সুন্দরবন, বর্ধমান থেকে শুরু করে ওড়িশার একদল শ্রমিক আটকে রয়েছেন নিউ টাউন, পাঁচ নম্বর সেক্টর এবং সল্টলেকের একাধিক নির্মীয়মাণ বাড়িতে। তাঁরা সেখানে বিভিন্ন কাজে যুক্ত। ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতে খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় ওই শ্রমিকদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে এনকেডিএ। নিউ টাউনের তিনটি অ্যাকশন এরিয়াতেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে খবর।
ওই শ্রমিকেরা জানিয়েছিলেন, লকডাউন চলায় এমনিতেই এখন তাঁদের কাজ বন্ধ। পাশাপাশি নির্মাণকারী সংস্থার কেউ আসতে না-পারায় তাঁরা খাবার সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়ছেন। খবর পেয়ে হিডকোর ইঞ্জিনিয়ারেরা বিভিন্ন প্রকল্প-এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাতে সেই সব সংস্থা থেকে শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বেশ কিছু ছোটখাটো নির্মীয়মাণ বাড়ি বা বহুতলের নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সেখানে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এনকেডিএ সূত্রের খবর, শ্রমিকের সংখ্যা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে না-পারলেও কম-বেশি ৪০০ শ্রমিক রয়েছেন নিউ টাউন এবং সংলগ্ন এলাকায়।
পাশাপাশি, বিধাননগরে সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকদের একটি অংশও। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, পুর এলাকায় বেশ কিছু নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন। যতটা সম্ভব তাঁদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকেও একদল শ্রমিক মেয়রের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁদেরও সাহায্য করা হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy