Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Ultadanga Murder Case

মালিক জানতেন না! ঝুঁকি নিয়ে কেন দেহ লোপাট করলেন অস্থায়ী কর্মীরা?

ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা আশিস যাদব ছাড়া আরও দুই কর্মী জড়িত রয়েছেন দেহ লোপাটের ঘটনায়। তাঁরা এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।

গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ২০:০৮
Share: Save:

খুবই ছোট মাপের একটি ঘর। খাটের আশপাশ দিয়ে ঠিক মতো চলাফেরাও জায়গা নেই। এমনই একটি ঘর ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া করে মাঝে মাঝেই অর্চনা পালংদারের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন প্রেমিক বলরাম কেশরী।

এ বারও এসএন ব্যানার্জি রোডের ওই হোটেলে উঠেছিলেন দু’জনে। সে দিন এমনকি ঘটনা ঘটল, যে ঘরের মধ্যে তাঁদের দেহ উদ্ধার (ধৃত হোটেল কর্মী আশিস যাদবের বয়ান অনুযায়ী) হল? তার পর ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ওই ঘরের দরজা খুলে অর্চনার এবং বলরামের দেহ কম্বলে মুড়ে নাইলনের দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে খালে ফেলে দিলেন হোটেল কর্মীরা? পুলিশকে কেন জানালেন না? হোটেল কর্মীরা কী করে বুঝলেন, ঘরের মধ্যে দু’জনের দেহ রয়েছে?

ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা আশিস যাদব ছাড়া আরও দুই কর্মী জড়িত রয়েছেন দেহ লোপাটের ঘটনায়। তাঁরা এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।

এ বিষয়ে হোটেলের মালিকের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, এ বিষয়ে এত দিন কিছুই জানতেন না। এখন সব জানতে পারছেন।

আরও পড়ুন: অর্চনা খুনে নয়া মোড়: উদ্ধার আরও ১ বস্তাবন্দি দেহ, তিনিই কি সেই ঝাড়খণ্ডের প্রেমিক?

হোটেল মালিক আদৌ সত্যি কথা বলছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর পাশাপাশি এক জন অস্থায়ী কর্মী কেন এত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গেলেন? তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

আশিসের দাবি মতোই আনন্দপুরের কাছে খাল থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। যে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, তা পুরুষের বোঝা গেলেও, পচনের কারণে সেটা বলরামের কি না, বোঝা যাচ্ছে না। দেহ শনাক্ত করার জন্যে, তাঁর পরিবারকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে।

এক পুলিশ কর্মীর বক্তব্য, হোটেলের ঘরে খুন বা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলে, তার দায় তো আর কর্মচারীকে নিতে হবে না। যদি না তিনি জড়িত থাকেন। আর আশিস তো একজন অস্থায়ী কর্মী। তিনি কেন এত ঝুঁকি নিতে যাবেন। এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য থাকলেও থাকতে পারে। আশিস জেরায় দাবি করেছে, খুনের ঘটনা পুলিশ জানে গেলে হোটেল বন্ধ করে দিতে পারে। তাই দেহ সরিয়ে দিয়েছেন। হোটেল বন্ধ হলে কর্মচারীর থেকে মালিকেরই তো ক্ষতি বেশি?

এসএন ব্যানার্জি রোডের মতো জনবহুল এলাকায় গাড়ি ভাড়া করে দু’টি দেহ নিয়ে গিয়ে খালে ফেলে দেওয়া খুব একটা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই হোটেলের এক কর্মীকে জেরা করেছে। তাঁর কাছ থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সূত্র মিলেছে। তবে এখনই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করে চাইছেন না তদন্তকারী অফিসারেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE