উল্টে যাচ্ছে ছবিটা। এত দিন ভাবা হত, বিপদ বেশি পুরুষেরই। কিন্তু নতুন এক সমীক্ষা বলছে, এখন তাঁদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন মেয়েরা। এ দেশেও নগর-জীবনে দূষণের বাড়বাড়ন্তে শ্বাসকষ্ট এবং আনুষঙ্গিক উপসর্গ বাড়ছে। তাতে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই তিন গুণ বেশি ভুক্তভোগী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় উঠে আসছে।
আজ, বুধবার বিশ্ব সিওপিডি দিবস। শ্বাসনালীর সঙ্কোচনের মারণ পরিমাণ রুখতে তাই সতর্ক থাকতে বলছেন ডাক্তারেরা। বক্ষরোগ চিকিৎসক রাজা ধরের কথায়, ‘‘শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন, এমন রোগীর ৩৫ শতাংশই সিওপিডি-র শিকার। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই আবার মহিলা। নিজেরা সবাই ধূমপান না করলেও বায়ুদূষণের শিকার তাঁরা।’’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০০ কোটির দেশ ভারতে ১৮ শতাংশই সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ-এর শিকার। ৩০ শতাংশ মৃত্যুর কারণও সিওপিডি।
আরও পড়ুন: আইনের ফাঁক, তাই কি অবাধ গুটখা-রাজত্ব?
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় প্রকাশ, দুনিয়ার ৩০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ১৩টিই ভারতের। যে তালিকায় রয়েছে কলকাতাও। ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াও কাঠকয়লা বা জ্বালানির ধোঁয়াও বিপদ ডেকে আনছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা আরও বলছেন, রাতভর মশার ধূপের ধোঁয়া ১০০টা সিগারেট খাওয়ার সমান। পুজোর ধূপ-ধুনোর সুরভিও আদতে ক্ষতিই করছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এক আন্তর্জাতিক সংস্থার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, জীবনে ধূমপান না-করা পুরোহিতেরা পর্যন্ত সহজেই সিওপিডি-র শিকার হচ্ছেন। পুণে শহরে ১৪০ জন পুরোহিতের ৬০ শতাংশ, এমনকি ৩০-৫০ বছর বয়সিরাও এই রোগের কবলে পড়ছেন বলে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪০ কোটির গুটখায় রঙিন হচ্ছে শহর
চিকিৎসকদের মতে, একটানা কাশি, শ্বাসকষ্ট, সোঁ-সোঁ নিঃশ্বাসের প্রবণতা, বুকে চাপ বা ঝিমিয়ে পড়ার প্রবণতা বিপজ্জনক সঙ্কেত হতে পারে। রাজাবাবুর কথায়, ‘‘এমন প্রবণতা দেখা দিলে, অবিলম্বে ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করানো উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy