ফাইল চিত্র।
আদালতের নির্দেশ মতো কোনও পুরকর্তা জামিনদার হতে রাজি না হওয়ায় হাওড়া পুরসভার পাঁচ অস্থায়ী কর্মীকে বৃহস্পতিবার হাজতবাস করতে হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার কর্মবিরতি পালন করলেন কয়েক হাজার অস্থায়ী পুরকর্মী। এই নিয়ে দিনভর পুরসভায় ছিল উত্তেজনা। শেষে এক স্থায়ী কর্মী আদালতের শর্ত মেনে এক লক্ষ টাকার সিকিওরিটি বন্ডে জামিনদার হতে রাজি হওয়ায় সমস্যা মেটে। পাঁচ জন অস্থায়ী কর্মীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া পুরসভার কর্মী ও হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে এক আইনজীবী পুরসভার পাঁচ অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই পাঁচ জন বৃহস্পতিবার প্রথম বিচারবিভাগীয় আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিনের আর্জি জানান। বিচারক শর্ত সাপেক্ষে আবেদন মঞ্জুর করেন। প্রথম শর্ত ছিল, অভিযুক্তদের বিষয়ে পুর কমিশনারকে ‘লেটার অব অ্যাশিওরেন্স’ দিয়ে বলতে হবে, মামলা চলাকালীন তাঁরা হাওড়া ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না। পাশাপাশি সকলকে মামলার দিন হাজির থাকতে হবে। কিন্তু পুরকর্মীদের অভিযোগ, কমিশনার সেই চিঠি দিতে রাজি হননি। ফলে বৃহস্পতিবার রাতটি তাঁদের হাওড়া জেলে কাটাতে হয়।
শুক্রবার অভিযুক্তদের আইনজীবী ফের বিষয়টি নিয়ে আবেদন করলে আদালত নতুন নির্দেশ দেয়, পুরসভার কোনও স্থায়ী কর্মী এক লক্ষ টাকার সিকিওরিটি বন্ড দিলে অভিযুক্তেরা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হতে পারবেন। সেই নির্দেশ মতো সন্ধ্যায় এক কর্মী জামিনদার হতে রাজি হন। তার পরেই ওই পাঁচ কর্মীকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy