প্রতীকী ছবি
দুর্ঘটনায় জখম এক যুবকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে রাতভর হয়রানি পোহাতে হল তাঁর পরিবারের লোকেদের। দত্তপুকুরের বাসিন্দা ওই যুবকের পরিজনেদের অভিযোগ, দু’টি সরকারি এবং আরও দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও নানা অজুহাতে ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁকে। শেষে যে হাসপাতাল থেকে জাহাঙ্গির আলি মণ্ডল নামে ওই যুবককে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল, সেই বারাসত জেলা হাসপাতালেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানাতে চান জাহাঙ্গিরের পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবসের দুপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে ছোট মালবাহী গাড়ির ধাক্কায় আহত হন জাহাঙ্গির। মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। স্থানীয়েরা তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং মস্তিস্কের সিটি স্ক্যান করা হয়। সেখানে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ নেই বলে তাঁকে বিকেলেই কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওই হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁকে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পরে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি খারাপ। তাঁকে রেফার করা হয় আর একটি বড় সরকারি হাসপাতালে।
অভিযোগ, মধ্য কলকাতার সেই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়নি। ওই হাসপাতাল জানায়, সেখানে শয্যা খালি নেই। ফলে ভর্তি নেওয়া যাবে না। কলকাতার হাসপাতালে আর চিকিৎসার চেষ্টা না করে জাহাঙ্গিরকে নিয়ে আসা হয় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা হয়। অভিযোগ, তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে বলে জানানোর পরেই বলা হয়, সেখানে শয্যা নেই। এর পরে আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলেও ভর্তি করা যায়নি জখম যুবককে। এর পরে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। তার পরে রবিবার বেলার দিকে ফের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি নেওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ, ‘আত্মঘাতী’ বৃদ্ধ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy