Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শহরের ফুটপাথে মিলল খুন হয়ে যাওয়া তরুণীর দেহ!

সকাল সাড়ে সাতটা। শহর চলছে স্বাভাবিক ছন্দে। এ জে সি বসু রোডের ফুটপাথ ধরে হেঁটে যাওয়ার সময়ে কাঁথা গায়ে শুয়ে থাকা এক তরুণীকে দেখে হঠাৎ থমকে গেলেন এক পথচারী।

সেই দেহ। — নিজস্ব চিত্র

সেই দেহ। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৮
Share: Save:

সকাল সাড়ে সাতটা। শহর চলছে স্বাভাবিক ছন্দে। এ জে সি বসু রোডের ফুটপাথ ধরে হেঁটে যাওয়ার সময়ে কাঁথা গায়ে শুয়ে থাকা এক তরুণীকে দেখে হঠাৎ থমকে গেলেন এক পথচারী। তরুণীর এলিয়ে পড়ে থাকার ধরন দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে তাঁর মনে। একটু ঝুঁকে তিনি দেখতে পান, তরুণীর গলায় কালশিটে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন তিনি। ছুটে আসে লোকজন। খবর যায় পার্ক স্ট্রিট থানায়।

এ ভাবেই শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও রিপন স্ট্রিটের মোড়ে একটি হোটেলের সামনে জনবহুল ফুটপাথ থেকে উদ্ধার হল খুন হয়ে যাওয়া বছর ছাব্বিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই তরুণীকে মারধর করে ও গলা টিপে খুন করা হয়েছে অন্য কোথাও। তার পরে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর কাছে ওই জায়গায় এনে দেহটি ফেলা হয়েছে রাতের অন্ধকারে।

পুলিশ জেনেছে, ওই হোটেলের সিসিটিভি আবার কিছু দিন ধরেই বিকল হয়ে রয়েছে। তাই তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য কতটা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে কিছুটা দূরে ট্রাফিক সিগন্যালের সিসিটিভি এবং অন্য সিসিটিভি-র ফুটেজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত শুক্রবারের ক্রাইম বৈঠকেই সিপি জানিয়েছিলেন, শহর জুড়ে রাস্তার সব ক’টি সিসিটিভি-র তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে হবে।

হোটেলের ম্যানেজার সৌমেন মিত্র জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হোটেলের এক বিদেশি অতিথি বেরিয়ে প্রার্থনার জন্য মাদার হাউসের উদ্দেশে চলে যান। তখনও কারও চোখে পড়েনি দেহটি। সৌমেনবাবুর কথায়, ‘‘সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ চিৎকার শুনে ছুটে যাই।’’

ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই তরুণীর গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন আছে। মুখে ও শরীরে রয়েছে আরও নানা আঘাতের চিহ্ন। নিহতের পরনে ছিল সালোয়ার-কামিজ। দেহটি ডান দিক হেলে পড়ে ছিল। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়না-তদন্ত করা হয় কাঁটাপুকুর মর্গে।

শুক্রবারই ক্রাইম বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এ বার থেকে বিশেষ ব্যাগে মৃতদেহ ভরে নিয়ে যেতে হবে। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন তরুণীর দেহের উপরে থাকা কাঁথাটি ধরেই দেহটি গাড়িতে তোলা হয়। পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশের অবশ্য দাবি, নিশ্চিত ভাবে মৃতদেহ বা পচাগলা দেহের ক্ষেত্রে সিপি ওই কথা বলেছিলেন। আর এ ক্ষেত্রে তরুণী বেঁচে ছিলেন কি না, হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরীক্ষা করার আগে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব ছিল না। তাই দেহ ব্যাগে ভরা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mystery death MostReadStories
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE