এক শিক্ষকের দায়ের করা মারধর, শ্লীলতাহানি এবং হার ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, ধৃত যুবকের নাম অরিন্দম দাস। তাঁর বিরুদ্ধে লেকটাউনের কালিন্দীর বাসিন্দা পদার্থবিদ্যার এক শিক্ষক ওই সব অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি অরিন্দমের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জেরেই অরিন্দম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন শিক্ষককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। তবে পাল্টা অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের দাবি, আগে শিক্ষক অরিন্দমকে ঘুষি মারেন। তাই ওই যুবকের বাবাও শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন বলেই খবর। রবিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকের অভিযোগ তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। তখন অভিযুক্তেরা মদ্যপ অবস্খায় গাড়ি চালিয়ে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। তাতে শিক্ষক প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তেরা তাঁকে মারধর করে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হন শিক্ষকের স্ত্রী। এমনকি শিক্ষকের মায়ের গলার হারও খোয়া যায়। অন্যদিকে প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তের দাবি, যা ঘটেনি শিক্ষক অভিযোগপত্রে তাই লিখেছেন।
সোমবার ওই শিক্ষক জানান, তিনি দমদম স্টেশন চত্বর সংলগ্ন এলাকার একটি বিয়েবাড়ি সেরে ফিরছিলেন। সঙ্গে তাঁর চার বছরের শিশুপুত্র, স্ত্রী এবং মা ছিলেন। তিনি রাত ১১টা নাগাদ অটোস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে রিকশা ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শিক্ষকের অভিযোগ, ছেলেকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় পিছন থেকে একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। পঙ্কজবাবুর কথায়, ‘‘আমি ছেলেকে নিয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলাম। ছেলের ক্ষতি হতে পারত। এ নিয়ে প্রথমে গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।’’ যায়।’’ শিক্ষকের দাবি, অভিযুক্তেরা মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি থানায় যাওয়ার কথা বললে অভিযুক্তেরা তাঁর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ শিক্ষকের। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে রাস্তায় ফেলে লাথি, ঘুষি মারা হয়। স্ত্রী বাঁচাতে গেলে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়। প্রৌঢ়া মায়ের গলার হারটিও খোয়া গেছে।’’ শিক্ষকের দাবি, পথচলতি লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দেখে অভিযুক্তেরা গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় যুবকের দাবি, তিনি ও তাঁর প্রৌঢ় বাবাও বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। অটোস্ট্যান্ডের কাছে শিক্ষকের হাত তাঁর গাড়ির লুকিং গ্লাসে লাগলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগকারী শিক্ষক যুবককে ঘুষি মারলে তিনি গাড়ির দরজা খুলে নামার চেষ্টা করেন। গাড়ির দরজায় লেগে শিক্ষকের চশমা ভেঙে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, যুবকের বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy