রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন।—ফাইল চিত্র।
মেট্রোর লাইনে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার ফের ব্যাহত হল পরিষেবা। বেলা ১২টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত টালিগঞ্জ ও ময়দানের মধ্যে বন্ধ রইল ট্রেন চলাচল। যার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়লেন অসংখ্য যাত্রী।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১২টা ১০ নাগাদ রবীন্দ্র সরোবরের আপ লাইনে ‘ঝাঁপ’ দেওয়ার ওই ঘটনা ঘটে। যার জেরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কবি সুভাষ থেকে দমদমমুখী ট্রেন ছাড়তে না পারায় ডাউন লাইনের পরিষেবাও ব্যাহত হয়। কবি সুভাষ ও টালিগঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর একটা নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয় বলে মেট্রোকর্তাদের দাবি।
বিভ্রাটের সময়ে টালিগঞ্জ ও ময়দানের মধ্যে কোনও ট্রেন না চলায় ভোগান্তির মুখে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। দুপুর একটা নাগাদ গোটা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও নির্ধারিত সূচি মেনে মেট্রো চালানো যায়নি। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শনিবারের ঘটনায় পরিষেবা ঘণ্টাখানেক ব্যাহত হয়েছে। মধ্যবর্তী সময়ে কবি সুভাষ ও দমদমের মধ্যে একটি ট্রেন চালানো হয়েছিল। ময়দান ও নোয়াপাড়ার মধ্যে দু’টি ট্রেন চালানো হয়েছে।’’
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে দমদমমুখী একটি এসি রেক ঢোকার সময়েই এক যুবক বেঞ্চ থেকে উঠে এসে আরপিএফ কর্মীর পিছন দিক দিয়ে ট্রেনের সামনে লাফিয়ে পড়েন। কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী তখন বাঁশি
বাজিয়ে যাত্রীদের সতর্ক করছিলেন। চালক আপৎকালীন ব্রেক কষলেও মেট্রোর চাকায় ওই যুবকের দেহ দু’টুকরো হয়ে যায়। পরে ছিন্নভিন্ন দেহটি উদ্ধার করা হয়। প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চ থেকে মেলে তাঁর মোবাইল ফোন। ওই সময়ে এসি রেকটির চারটি কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে ছিল। সেগুলির দরজা খুলে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। রাত পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পরে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy