চুরির ঘটনায় ধৃত তিন জন। নিজস্ব চিত্র।
নিজের বাড়িতেই লক্ষাধিক টাকা, ও গয়না চুরি করিয়ে গ্রেফতার হল এক যুবক। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সঙ্গীকেও। তিলজলা থানা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ অগস্ট ও ৩১ অগস্টে নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং প্রায় সাত লক্ষ টাকার গয়না চুরি যায় তিলজলার বাসিন্দা শেখ বাবলুর বাড়ি থেকে। এ ব্যাপারে তিলজলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ হয়, বাইরের কেউ নয়, এই চুরির সঙ্গে যুক্ত পরিচিত কেউ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই ফুটেজ দেখেই চুরির কিনারা করেন তাঁরা।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই দুই রাতের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক বাবলুর বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয়দের কথা বলে এবং সোর্স কাজে লাগিয়ে ওই ছেলেটিকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। জানা যায় ওই যুবক তিলজলার কুষ্ঠিয়া রোডের বাসিন্দা। নাম মহম্মদ রিয়াজ। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে জেরা করে। বেশ কিছু ক্ষণ জেরার পরই ভেঙে পড়ে রিয়াজ। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। রিয়াজকে জেরা করে তার আর দুই সঙ্গীর হদিশ পায় পুলিশ। তাদের মধ্যে এক জন শেখ বাবলুর সত্ ছেলে শেখ নাজিরুদ্দিন ওরফে সোহেল এবং অন্য জন মহম্মদ সাবির।
উদ্ধার হওয়া গয়না ও টাকা। নিজস্ব চিত্র।
তিন জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে চুরির পরিকল্পনা করেছিল বাবলুর ছেলে সোহেলই। বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, এই সোহেলই চুরির জন্য দু’জনকে ভাড়া করে। তাদের কাজে লাগিয়েই নগদ টাকা ও গয়না হাতিয়ে নেয় সে। যদিও চুরি যাওয়া গয়না ও নগদ টাকার সবটাই ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চুরির ধরন দেখেই সন্দেহ হয়েছিল পরিচিত কেউ এর সঙ্গে জড়িত। কারণ কোথায় টাকা ও গয়না রাখা আছে এই তথ্য ঘরের লোক ছাড়া কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy