Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Ekbalpur

দেওরের হামলায় মৃত্যু মহিলার, জখম দুই মেয়ে

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে একবালপুর থানায় আসে বছর পঁচিশের ওই যুবক।

একবালপুরের এই বহুতলেই থেঁতলে খুন করা হয় এক মহিলাকে— নিজস্ব চিত্র।

একবালপুরের এই বহুতলেই থেঁতলে খুন করা হয় এক মহিলাকে— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৬
Share: Save:

বৌদি ও তাঁর দুই মেয়েকে মাথায় শিলনোড়া দিয়ে আঘাত করার পরে গলায় এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করল অভিযুক্ত দেওর। শুক্রবার ভরদুপুরে শহরের বুকে এমনই ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, একবালপুর থানায় এলে অভিযুক্ত সুলতান আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে একবালপুর থানায় আসে বছর পঁচিশের ওই যুবক। ডিউটি অফিসারের টেবিলে এসে জানায়, সে আত্মসমপর্ণ করতে চায়। কী কারণে সে আত্মসমপর্ণ করতে চাইছে, তা জানতে চাওয়া হলে সুলতান জানায়, সে তিন জন মহিলাকে খুন করে এসেছে। এ কথা শুনেই সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে আটক করে তার দেওয়া ঠিকানা ৬০/এইচ/১২ নম্বর ডক্টর সুধীর বসু রোডে পৌঁছয় পুলিশ। গিয়ে দেখে, সেখানে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়ে। সকলেরই মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত। গলায় ও হাতে কাটা দাগ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযুক্তের বৌদি আকিদা খাতুনকে (৪৫) চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ২০ ও ১৭ বছরের দুই মেয়ের অবস্থা সঙ্কটজনক। চিকিৎসা চলছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুলতান সম্পর্কে নিহত আকিদা খাতুনের মামাতো দেওর। বাড়ি রাজাবাগান থানা এলাকার পাঁচপাড়া রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কোনও গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয় একটি সূত্রের খবর, আকিদার বড় মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল সুলতান। তা নিয়ে আকিদা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথাও বলেছিল সে। কিন্তু ওই দম্পতি কিছুতেই এ বিয়েতে মত দিচ্ছিলেন না। এ দিন দুপুরে সুলতান তাই সোজা হাজির হয় ডক্টর সুধীর বসু রোডে, আকিদার বাড়িতে। সেই সময়ে আকিদার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। আকিদা আর তাঁর দুই মেয়েকে একা পেয়ে কথা কাটাকাটির মাঝেই শিলনোড়া তুলে তিন জনের মাথায় আঘাত করে সুলতান। তার পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়। পরে আকিদার স্বামী বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, বাড়ির সামনে প্রবল ভিড়। তার পরে তিনি জানতে পারেন ঘটনার কথা।

এর কিছু পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একবালপুর থানার পুলিশ। আসেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও। তদন্তে নেমে পুলিশ শিলনোড়াটি উদ্ধার করতে পারলেও ধারালো অস্ত্রটির খোঁজ পায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ekbalpur Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE