Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

চার মেয়ের পরে ছেলে হল দ্যুতির

এ দিকে সদ্য মা হওয়া জেব্রা, দ্যুতি কিছুতেই ছুঁতে দেবে না কয়েক ঘণ্টা বয়সী ছানাকে। শেষমেশ দ্যুতিকে কোনওমতে সামলে স্পষ্ট হল জেব্রা ছানার সমস্যাটা।

স্নেহ: ছেলেকে নিয়ে দ্যুতি। সোমবার, আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

স্নেহ: ছেলেকে নিয়ে দ্যুতি। সোমবার, আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:১১
Share: Save:

সদ্যোজাত জেব্রাশাবক কেমন যেন টলমল করছে! সে দিকে চোখে পড়তেই আঁতকে উঠেছিলেন আলিপুর চিড়িয়াখানার অভিজ্ঞ কিপার। ডাক্তারবাবু, ব়ড়সাহেবকে তক্ষুণি জানিয়েছিলেন সব। দল বেঁধে সক্কলে ছুটে গিয়েছিলেন জেব্রার খাঁচার সামনে। এ দিকে সদ্য মা হওয়া জেব্রা, দ্যুতি কিছুতেই ছুঁতে দেবে না কয়েক ঘণ্টা বয়সী ছানাকে। শেষমেশ দ্যুতিকে কোনওমতে সামলে স্পষ্ট হল জেব্রা ছানার সমস্যাটা।

না, শরীর খারাপ হয়নি ছানাটির। পিছনের দু’টি পায়ে মায়ের গর্ভথলি ও নাড়ির অংশ জড়িয়ে গিয়েছিল। সে সব সাফ করে দিতেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল সে। মায়ের দুধ খেতেও শুরু করে। তা দেখে হাঁফ ছাড়েন চিড়িয়াখানার কর্মীরা।

চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত সোমবার জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি রাতে জন্মের পর থেকে সুস্থই আছে পুরুষ জেব্রাশিশুটি। চি়ড়িয়াখানার কর্মীরা বলছেন, ছেলেকে সর্বক্ষণ আঁক়ড়ে রয়েছে দ্যুতি। নবজাতকের উপরে নজর রাখছে বাবা ও চার দিদি। দিন দুয়েক পরেই তাকে লোকচক্ষুর সামনে হাজির করা হবে। এই নবজাতককে নিয়ে বর্তমানে চিড়িয়াখানায় জেব্রার সংখ্যা দাঁড়াল আট।

২০১০ সালে ইজরায়েল থেকে উজ্জ্বল ও দ্যুতি নামে দু’টি জেব্রাকে আনা হয়েছিল। পরে তাদের পরিবারে যোগ দেয় আরও এক সদস্য। আগে চিড়িয়াখানাতেই উজ্জ্বল ও দ্যুতির চারটি মেয়ে জন্মেছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এত জেব্রা নিয়ে কী করবে চিড়িয়াখানা? রাজ্য জু অথরিটি সূত্রে খবর, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার সঙ্গে পশু লেনদেন চলছে। জেব্রার বদলে কোনও চিড়িয়াখানা থেকে অন্য পশু পাওয়া যায় কি না, তা দেখা হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE