দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে চলতি মাসের ৮ তারিখ বাগুইআটি উড়ালপুল উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কথা জানান উড়ালপুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সত্য বসু। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটি উদ্বোধন করবেন। স্থানীয় বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “৮ তারিখ উড়ালপুল উদ্বোধন হবে শুনেছি। প্রস্তুতি চলছে।”
কেষ্টপুর ও দমদম পার্কের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে রঘুনাথপুরে শেষ হয়েছে এই উড়ালপুল। ভিআইপি রোডের যানজট এড়াতে প্রায় দু’কিলোমিটার এই উড়ালপুল তৈরি শুরু হয় ২০১২ সালে। বাম আমলে এই উড়ালপুল তৈরির দাবি ওঠে। তখন অনুমোদন মিললেও কাজ শুরু হয়নি। তৃণমূলের আমলে উড়ালপুল তৈরি শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪-র শেষে। কিন্তু পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, এই উড়ালপুল বানাতে গিয়ে কেষ্টপুরে বাগজোলা খালের উপরে দু’টি সেতু বানাতে হয়েছে। রাস্তা চওড়া করতে হয়েছে। কেষ্টপুর, বাগুইআটি ও জোড়ামন্দিরে বানানো হয়েছে তিনটি আন্ডারপাসও। তাই এই সময় লেগেছে।
পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা জানিয়েছেন, এখন চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। উড়ালপুলে আলো লাগানো ও সৌর্ন্দযায়নের কাজ চলছে জোরকদমে। ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, শহরের অন্যান্য উড়ালপুলের নীচে অনেক সময়েই দেখা যায় বাজার বসে গিয়েছে বা গ্যারাজ তৈরি হয়েছে। কোথাও আবার খাবারের দোকানও বসে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে যাতে তেমন না হয় তাই প্রথম থেকেই নীচে গাছ লাগানো হচ্ছে। উড়ালপুলের ডিভাইডারে গার্ড রেলিং না দিয়ে সেখানেও ফুলের গাছ লাগানো হচ্ছে। এমনকী, কিছু ঘাসের তৈরি মডেলও বসানোর কথা আছে। তাঁদের মতে, গাড়ির গতি ঠিক রাখতে উড়ালপুলের নিচ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য যানজট এড়াতে অনেক গাড়ি এখন নিউ টাউন রোড হয়ে ঘুরে যায়। এই উড়ালপুল চালু হলে ভিআইপি রোড দিয়েই দ্রুত বিমানবন্দরে পৌঁছনো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy