বন্ধ একটি টিকিট কাউন্টার।
দীর্ঘ দিন ধরে একটি টিকিট কাউন্টার বন্ধ। বন্ধ রয়েছে একটি সুলভ শৌচালয়ও। ছবিটি টালিগঞ্জ রেল স্টেশনের। এই স্টেশন রেলপথ, মেট্রো এবং সড়কপথে শহরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যুক্ত।
কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন শৌচালয় গড়ে তোলার ‘‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’’-এর জন্য উদ্যোগী হয়েছে, সেখানেই রেল দফতরের এ হেন অবহেলায় বিরক্ত নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, শৌচাগার বন্ধ থাকায় উন্মুক্ত স্থানে প্রস্রাব করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। এর পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে চারুচন্দ্র প্লেস ইস্ট রোডের দিকের টিকিট কাউন্টারও।
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বজবজ শাখার টালিগঞ্জ রেল স্টেশন লাগোয়া রবীন্দ্রসরোবর মেট্রো স্টেশন। ফলে এই স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। আগে এই স্টেশনে একটি মাত্র টিকিট কাউন্টার ছিল। কিন্তু যাত্রীদের ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকায় রেল কর্তৃপক্ষ আরও একটি টিকিট কাউন্টার তৈরির পরিকল্পনা করে। স্টেশনের সম্প্রসারণ করে চারুচন্দ্র প্লেস ইস্ট রোডের দিকে নতুন টিকিট কাউন্টার করা হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য তার পাশেই তৈরি করা হয় সুলভ শৌচালয়।
বন্ধ শৌচালয়।
কিন্তু এখন এই নতুন টিকিট কাউন্টারটি বন্ধ। স্টেশনে ছাউনি তৈরির কাজ চলেছে। সেই কাজের জন্য আসা জিনিস রাখা হচ্ছে ওই কাউন্টারটিতে। পাশের শৌচালয়ের ঢোকার মুখেই নোংরা আবর্জনা। কোলাপসিবল গেট বন্ধ। সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে না পেরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনে নেমেই যাত্রীদের প্রস্রাব করতে হয়।
এক যাত্রী বলেন, “রেল স্টেশনে কোনও শৌচালয় না থাকায় বড় রাস্তায় কলকাতা পুরসভার সুলভের উপরেই ভরসা করতে হয়। তবে সেখানে পৌঁছতে সময় লাগে বলে অনেকেই রেল লাইনের পাশে প্রস্রাব করেন।” সমস্যা রয়েছে টিকিট কাউন্টার নিয়েও। নিত্যযাত্রীরা জানান, মেট্রো স্টেশন থেকে ওঠার পরেই রয়েছে একটি টিকিট কাউন্টার। কিন্তু রেল স্টেশনে কোনও ট্রেন এলেই কাউন্টারের সামনে ভিড় জমে যায়।
যাত্রীরা জানান, এক দিকে মেট্রো থেকে রেল স্টেশনে আসা যাত্রীদের ভিড়। অন্য দিকে, ট্রেন বা মেট্রো থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার ভিড়। তার উপরে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের লাইন। সব মিলিয়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা হয়। ধাক্কাধাক্কি করে এগোতে হয় বলে অভিযোগ তাঁদের।
কিন্তু অন্য টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলে এই সমস্যা হত না বলেই মত সাধারণ যাত্রীদের। কারণ, তাতে বঙ্গশ্রী পার্কের দিক থেকে আসা যাত্রীরা বন্ধ কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে পারতেন। এমনকী ভিড় এড়ানোর জন্য যাত্রীরা অন্য কাউন্টারে আসতে পারতেন। কিন্তু কোনও বিকল্প পথ না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভিড়ে দাঁড়াতে হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “টালিগঞ্জ রেল স্টেশনের অন্য কাউন্টার থেকে অনেক কম টিকিট বিক্রি হয়। তাই সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সুলভ শৌচালয় চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy