বিক্ষোভ: হাড়োয়ায়। নিজস্ব চিত্র
ট্রেন আসবে বলে বন্ধ ছিল রেলগেট। সে সময় রাস্তায় ভ্যান রিকশা ও মোটরবাইক রাখা নিয়ে বাধে বচসা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলল বোমা। শূন্যে গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, বোমার ঘায়ে জখম হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার হাড়োয়া রোড স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে। ক্ষিপ্ত জনতা দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় দু’ঘণ্টা বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ দোষীদের ধরার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন আসবে বলে রবিবার রাতে হাড়োয়া রোড রেল স্টেশন সংলগ্ন ২১ নম্বর গেটটি বন্ধ ছিল। ফলে বেড়াচাঁপা থেকে হাড়োয়া যাওয়ার ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় সমস্ত গাড়ি। সে সময় একটি ভ্যানরিকশা ও মোটরবাইক আরোহীর মধ্যে বিবাদ বাধে। অভিযোগ, স্থানীয় মানুষ সমাধানের জন্য এগিয়ে এলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মোটরবাইক আরোহী। সে ফোন করে কয়েকজনকে ডেকে আনেন।
সোমবার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাধান করতে এগিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করানো হয়। তারই প্রতিবাদ করেন স্থানীয় লোকজন। এরপরেই শুরু হয় গন্ডগোল। চলে বোমাবাজি, শূন্যে গুলি চলে বলেও দাবি স্থানীয় লোকজনের। পুলিশ জানায়, ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে পালায় দোকানিরা। বোমা এসে পড়ে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির তেলেভাজার দোকানে। বোমাতে জখম হন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাক ও চোখের নীচে আঘাত লেগেছে।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, হাড়োয়া স্টেশন চত্বরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে। মুখ খুললে হয়তো প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘চারজন দুষ্কৃতীর নামে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ হয়েছে।’’ দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে বড় ধরনের বিক্ষোভ করা হবে বলে এ দিন জানান এলাকার ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীরা। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বোমার নমুনা সংগ্রহ করেন দেগঙ্গা থানার পুলিশ। নতুন করে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় তার জন্য পুলিশি ক্যাম্প করা হয়েছে ওই রেলগেট এলাকায়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy