‘কানের ভিতরে পর্দা ছাড়া আর কী থাকে?’ ‘এই পৃথিবী, সমুদ্র কে তৈরি করেছে?’— সুন্দরবন বালিকা বিদ্যালয়ের (প্রাথমিক কো-এড) চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র দেবরাজ পাঠকের মনে এই প্রশ্নগুলি এসেছিল। কাকদ্বীপের সরকারি গ্রামীণ গ্রন্থাগার, বিদ্যাসাগর সাধারণ পাঠাগারে বই ঘেঁটে সে এ সব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে।
এমনই সব প্রশ্ন এখন আসছে মহকুমা সদরের ওই গ্রামীণ গ্রন্থাগারে। ইন্টারনেট, মোবাইলের নাগাল যারা এখনও পায়নি, সেই সমস্ত কচিকাঁচাদের এখন নতুন করে গ্রন্থাগারমুখী করার চেষ্টা চলছে শহরের একমাত্র গ্রন্থাগারে। তাতে সাড়াও মিলছে। প্রচুর বাচ্চা আবার নতুন করে গ্রন্থাগারের দিকে আসছে। নিজে হাতে লিখে নানা রকম প্রশ্ন আনছে। বই ঘাঁটছে।
কাকদ্বীপ গ্রামীণ গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক দীপক মাইতি জানালেন, ‘‘কাকদ্বীপের একটা বড় অংশের বাচ্চা দরিদ্র পরিবার থেকে স্কুলে আসে। এখনও সকলের হাতে মোবাইল বা ইন্টারনেট পৌঁছয়নি। কিন্তু পড়াশোনা, বা জানার ইচ্ছে আছে অনেকেরই। তাই আমরা গত বছর থেকে চালু করেছি ‘আমার জিজ্ঞাসা বিভাগ’। এতে অনেক বাচ্চা প্রশ্ন করছে। তার উত্তর বিভিন্ন বই থেকে দেওয়ার চেষ্টাও করছি।’’ বড় সদস্যদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। কচিকাঁচাদের যে বিভাগটি কাকদ্বীপ গ্রামীণ গ্রন্থাগারে ছিল তাতেও নতুন নতুন কিছু করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গ্রন্থাগার পরিচালন কমিটি। তাই নতুন নতুন প্রয়োগ করা হচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যে। কিন্তু কেন এ সব প্রশ্ন জানতে বাচ্চারা গ্রন্থাগারে আসবে, স্কুলের শিক্ষকদের কাছেই তো তা জানতে পারে?