বাজেয়াপ্ত: মিলেছে এই সব অস্ত্র। নিজস্ব চিত্র
প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মুছাকালি মোল্লা। তার কাছ থেকে ন’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছ’রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ গোসাবার রাধানগর গ্রামে হানা দেয়। সেখানে মুছার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত যুবক অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত। ভিনরাজ্য থেকে অস্ত্র এনে গোসাবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত সে। কোথা থেকে অস্ত্র এনে কার কাছে সে বিক্রি করত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বিজেপির আবার দাবি, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান রেবা মণ্ডলের স্বামী তপনের অনুগামী মুছা। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূল আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত বলেন, “গোসাবার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত হয়েছে। আর তাতেই ভয় পেয়ে তৃণমূল বিধানসভা ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস করতে এবং বিজেপির উপরে হামলা করতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে।” বিজেপির আরও অভিযোগ, কয়েক দিন আগে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় হামলার ঘটনায় তৃণমূল কর্মী মুছা জড়িত ছিল।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। তপন বলেন, “আমি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। পুলিশ কাকে কী কারণে গ্রেফতার করেছে জানি না। মুছার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই।” গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। কে গোপনে কী ব্যবসা করছে, তা তৃণমূল নেতৃত্বের জানার কথা নয়। যদি কেউ এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম করে, সে বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”
বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এলাকায় বেআইনি অস্ত্র মজুতের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে ওই ব্যক্তি অস্ত্র মজুত করেছিল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy