এ রাজ্যে সাদা চোখে দেখা যায় ব্যবসাটা হোটেল আর পানশালার। সেই হোটেল মালিকই ভিনরাজ্যে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার জাল ছড়িয়ে কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ!
ইলাহাবাদ থেকে ১১ জন এজেন্ট টাকা চাইতে এলে তাঁদের দু’দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল জগদ্দলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ‘ইকুইনক্স’ নামে ওই হোটেলে। বৃহস্পতিবার সকলকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপরেই সামনে এসেছে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কারবারের কথা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই কারবার চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, হোটেলের ব্যবসার আড়ালে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহারে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রায় ৯০টি শাখা খুলে বসেছিলেন মালিক প্রবীর চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি হালিশহরে। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। এ দিন ধরা পড়েছেন তাঁর ছেলে প্রতীক। তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
দু’দিন ধরে নজর রাখার পরে বৃহস্পতিবার সাদা পোশাকের পুলিশ হানা দেয় ইছাপুর খালের কাছে এক্সপ্রেসওয়ের ধারের ওই হোটেলে। এর আগেও সেখানে নানা বেআইনি কাজকর্মের অভিযোগ পেয়ে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সে সময়ে গ্রেফতার হয় কয়েকজন। সরাই আইনে মামলা হয়েছিল মালিকের বিরুদ্ধে। তবে সে সময়ে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা চালানোর বিষয়টি নজরে আসেনি পুলিশের।
যে এগারো জনকে এ দিন উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছিল না দীর্ঘ দিন ধরে। এজেন্টদের উপরে চাপ বাড়ছিল। কবে টাকা ফেরত দেওয়া যাবে, সে সব নিয়ে কথা বলতেই ওই এগারো জন এসেছিলেন জগদ্দলের হোটেলে। এজেন্টরা আরও জানান, এখানে তাঁদের রীতিমতো বন্দি বানিয়ে ফেলা হয়। মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। হোটেলের ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল সকলকে। দু’দিন খেতে দেওয়া হয়নি। জলটুকুও দেয়নি কেউ। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ক্রমাগত। এজেন্টদের অনেকের নিজেদের টাকাও ওই বেআইনি লগ্নিসংস্থায় খাটছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy