লক্ষ্মী পাল
আর্থিক অনটনের কারণে এমএ পড়া হয়নি। চেষ্টা করছিলেন চাকরির। সেটাও পাননি। অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী।
রবিবার রাতে হাবড়া থানার গোবরডাঙা গৈপুর এলাকার ওই তরুণী বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম লক্ষ্মী পাল (২২)। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী গত বছর গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে স্নাতক হন। ইচ্ছে ছিল এমএ পড়বেন। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। লক্ষ্মীর বাবা কার্তিক ভ্যান চালান। মা শিবানী সেলাইয়ের কাজ করেন। ভাই শুভাশিস একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।
কার্তিক বলেন, ‘‘মেয়ে বলত, চাকরি পেয়ে ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ মেটাবে। পরিবারের হাল ফেরাবে। সেই মতো চাকরির চেষ্টাও করছিল।’’ মাস তিনেক আগে লক্ষ্মী রাজ্য পুলিশে চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সফল হতে পারেননি। তারপর থেকেই মনমরা ছিলেন।
রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ মা দেখেন, মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। এরপরে দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছেন লক্ষ্মী। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে। কাছেই একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টা নাগাদ সেখানেই মারা যান ওই তরুণী। লক্ষ্মীর বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছিল। ফাল্গুন মাসে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাবা-মা। প্রতিবেশী অরুণ বাছার বলেন, ‘‘মেয়েটা পরিবারের কথা সব সময়ে ভাবত। ওর এ ভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy