মহার্ঘ: পেঁয়াজের সঙ্গে বাজারে আগুন অন্য আনাজও। নিজস্ব চিত্র
রায়গঞ্জ মহকুমা-সহ জেলার ন’টি ব্লকের সমস্ত বাজারে দুর্নীতিদমন শাখা ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা অভিযানে নামতে চলেছেন— এমনই জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘খুব শীঘ্রই তাঁরা বাজারে বাজারে ঘুরে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে আনাজ, মাছ, মাংস-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার হিসেবের নথি খতিয়ে দেখবেন। কোনও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে দাম বাড়ানোর প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
শুধু পেঁয়াজ নয়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ, মাংস-সহ বিভিন্ন আনাজের দাম। মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে জেলাবাসী।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মহকুমার বিভিন্ন খুচরো বাজারে আনাজ ও মাছ-মাংসের দাম প্রতি কিলোগ্রামে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। বাজারের জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কেন অভিযান চালাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। তাঁদের একাংসের বক্তব্য, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর কালোবাজারি ও বেআইনি ভাবে দাম বৃদ্ধি রুখতে দুর্নীতিদমন শাখার তরফে অভিযান চালানোই নিয়ম।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের দাবি, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও গণনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই কারণে এখনও পর্যন্ত মুল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রায়গঞ্জের মোহনবাটী, এফসিআই, দেবীনগর, গোশালা, সুভাষগঞ্জ, কলেজপাড়া, বন্দর বাজার ছাড়া হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহারের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ, মাছ, মাংস-সহ বিভিন্ন আনাজের দাম চড়া ছিল। এ দিন বিভিন্ন বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ ১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, পেঁয়াজকলি ১৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ টাকা, পাঁঠার মাংস ৭০০ টাকা, দেশি কাতলা মাছ গোটা ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পুরনো আলু কেজিপ্রতি ২০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা ও ছিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মোহনবাটী বাজারের খুচরো আনাজ ব্যবসায়ী কমলেশ সাহা ও ইটাহার বাজারের খুচরো মাছ ব্যবসায়ী সনাতন বর্মণের কথায়, ‘‘পাইকারি ব্যবসায়ীরা আনাজ, মাছ ও মাংসের দাম ক্রমাগত বাড়াতে থাকায় খুচরো বাজারেও সে সবের দাম বেড়ে গিয়েছে।’’ হেমতাবাদ বাজারের পাইকারি আনাজ ব্যবসায়ী স্বপন দেববর্মণের দাবি, এ বছর দুর্গাপুজোর মুখে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে একটানা বৃষ্টি হয়। তার জেরে শীতকালীন আনাজের চাষের ক্ষতি হয়েছে। তাই চাষিরা পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফঁড়েদের কাছে বেশি দামে আনাজ বিক্রি করছেন।
মোহনবাটী বাজারের একাধিক মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীর দাবি, প্রতি বছর বিয়ের মরসুমে জোগানের তুলনায় মাছ ও মাংসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেগুলির দাম কিছুটা বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy