তদন্তের জন্য নিহতদের (ইনসেটে) বাড়িতে পুলিশ। ছবি: সুজিত দুয়ারি
বছর কুড়ি আগের স্মৃতি ফিরে এল জোড়া খুনের ঘটনায়। অতীতের আতঙ্কের দিনের কথা মনে পড়ছে হাবড়ার টুনিঘাটা এবং সংলগ্ন এলাকার প্রবীণ মানুষজনের। টুনিঘাটার লন্ডনপাড়ার বাসিন্দা লীলারানি মণ্ডল ও রামকৃষ্ণ মণ্ডলকে মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়িতে চড়াও হয়ে গুলি করে খুন করে এক যুবক। বুধবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, নিহতদের বাড়িতে পাড়া-পড়শিরা জড়ো হয়েছেন। তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। কথা হচ্ছিল, তপতী রায় নামে এক মহিলার সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘মঙ্গলবার অনেক রাতে গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। ভয় লাগছিল। একটা সময় ছিল, রোজই এখানে গুলি-বোমাবাজি হত। মানুষ ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে পারতেন না। আমরা চাই না, আবার সে সব দিন ফিরে আসুক।’’
স্থানীয় কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা সবিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পরে আমরা বাড়ি থেকে বেরোতে সাহস পেতাম না। এখন অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে।’’ অনেক দিন পরে এলাকায় গুলির শব্দ শোনা গেল বলে জানালেন অনেকেই। গ্রামবাসীরা অনেকে জানালেন, বছর ১৮-২০ আগে এ সব এলাকা ছিল দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। নদুপুরে বোমাবাজি হত, গুলি চলত। খুন, ছিনতাই, অপহরণ, ডাকাতি ছিল রোজকার ঘটনা। কুখ্যাত ছিল দিলীপ ঢালির দলবল। দিলীপ এক সময়ে খুন হয়ে যায়। অতুল মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধ জানালেন, ১৯৯৫ সাল থেকে এখানে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছিল। ভয়ে আমরা সন্ধ্যার পরে বাড়ির বাইরে বের হতে পারতাম না। দুষ্কৃতীরা ছিল লাগামছাড়া।’’ জমি-বাড়ি জলের দরে বিক্রি করে অনেকে চলে গিয়েছিলেন বলেও জানালেন কেউ কেউ। নতুন করে এলাকায় যেন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য শুরু না হয়, ভয়ে ভয়ে আছেন অনেকেই। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, নিয়মিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি, ধরপাকড় চলে। গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy