অবস্থান: নিজস্ব চিত্র
ভর্তির ফি কমানোর কথা বলতে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তখন তাঁদের সঙ্গে অধ্যক্ষ দুর্ব্যবহার করেছেন— এই অভিযোগে সোমবার নামখানা কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা।
প্রায় ৬ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে ছিলেন অধ্যক্ষ দয়ালচাঁদ সর্দার এবং কলেজের অন্য শিক্ষকেরা। দয়ালচাঁদবাবু বলেন, ‘‘কোনও দুর্ব্যবহার করা হয়নি। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে ফি। তাতেও আপত্তি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনে বছর চারেক হল চালু হয়েছে নামখানা কলেজ। কিন্তু অর্গানাইজিং কমিটির সিদ্ধান্তে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফি অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। তার জেরে কয়েক দিন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের অসন্তোষ চলছিল নামখানা কলেজে। এক ছাত্রীর দাবি, ‘‘ছয় বান্ধবী মিলে স্যারকে বলতে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, বাবা কৃষিকাজ করেন। ফি কমালে ভাল হয়। কিন্তু ফি কমানোর আশ্বাস না দিয়ে উল্টে অধ্যক্ষ বললেন, তা হলে আর পড়তে হবে না। বাড়িতে বল, বিয়ে দিয়ে দিতে।’’ এরপরেই শুরু হয় ঘেরাও কর্মসূচি।
কলেজে রয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের অরাজনৈতিক মঞ্চ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। তার নেতা আকাশ জানার দাবি, ল্যাবে যন্ত্রপাতি না থাকা, গ্রন্থাগারে বই না থাকা, ফি বৃদ্ধির মতো খামতি নিয়ে ছাত্রেরা দাবি তুললেই অধ্যক্ষ স্টুডেন্টস কাউন্সিল গড়ে ছাত্রদের বহিষ্কারের ভয় দেখাচ্ছেন বলে দাবি পড়ুয়াদের। একলাফে ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করা হয়েছে পড়াশোনার খরচ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত টিউশন ফি বাদে বাকি উন্নয়ন খাতে টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগ দিতে গেলে নিচ্ছেন না। আলোচনাও করছেন না।
যদিও ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা ভয় দেখানোর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন দয়ালচাঁদবাবু। অধ্যক্ষের দাবি, কলেজের ফি অর্গানাইজিং কমিটি ঠিক করেছিল। তারপরেও ঠিক হয়েছে, এখনই তা বাড়বে না। তা নোটিস দিয়েও বলা হয়েছে। দয়ালচাঁদবাবুর কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন ঠিক কী কারণে, তাই পরিষ্কার হচ্ছে না।’’ বিকেল ৫টা নাগাদ ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রছাত্রীর। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
নতুন কলেজ অর্গানাইজিং কমিটির হাত থেকে সবে জিবি গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। অর্গানাইজিং কমিটির সভাপতি তথা নামখানা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরমেশ্বর মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকার তিন বছরে কোনও অনুদান কলেজকে দেয়নি। তাই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই ধাপে ধাপে ফি বাড়াতে হবে। তবে অধ্যক্ষকে আরও ভাল ব্যবহার করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy